পাতা:বর্ত্তমান জগৎ দ্বিতীয় ভাগ.pdf/২৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা R ଦ୍ କନ୍ଧ । সকলের নামই লিখিয়া রাখা হয় । বিদ্যালয়ের ছাত্রেরা সেই সকল নাম দেখিয়া উচ্চ আকাজক্ষার বশবৰ্ত্তী হইয়া শিক্ষা করে ।” লীস বিদ্যালয় হইতে কিংস কলেজে আসিলাম। অধ্যাপক ডিকিনসন এই সময়ে আসিতে লিখিয়াছিলেন। ইনি কিছুদিন হইল চীন, জাপান ও ভারতবর্ষ ভ্ৰমণ করিয়া আসিয়াছেন । এ সম্বন্ধে একখানা পুস্তিকা ও লিখিয়াছেন । ইহার মতে, "জগতের ভিতর একমাত্র ভারতবর্যই ইউরোপীয় সভ্যতা গ্ৰহণ করিতে অসমর্থ । কারণ ভারতীয় সভ্যতা পাশ্চাত্য সভ্যতার সম্পূর্ণ বিরোধী ও বিপরীত । জাপান ও চীনের লোকেরা প্রকৃতপক্ষে পাশ্চাত্য ভাবাবলম্বী । জাপানী ও চীনা জনগণ জগৎকে যে ভাবে দেখে, ইউরোপের জনগণ প্ৰায় সেই চোখেই দেখিয়। থাকে । ইহারা সকলে বাস্তব জীবন, সাংসারিক তা ও স্থল পদার্থের । দিকে বেশী দৃষ্টিপাত করে। কিন্তু ভারতবাসীর দৃষ্টি অন্য দিকে । হঁহারা অতীন্দ্ৰিয়ের কথা বেশী ভাবে । এইখানেই প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যে প্ৰভেদ। প্ৰকৃত প্ৰস্তাবে চীন ও জাপান পাশ্চাত্য সভ্যতার অন্তৰ্গত । একমাত্র ভারতবর্যই প্ৰাচ্য !” দেখা যাইতেছে বিলাতের পণ্ডিতের। ভারতবর্ষকে এশিয়ার ভিতর “এক ঘরে” করিয়া রাখিতে চাহেন । আজ কুমার স্বামী মহাশয় ডিকিনসনের গৃহে, মধ্যহ্ন ভোজন করিবেন । ডিকিনসন আমাকেও আহার করিতে বলিলেন । আমার অন্যত্র বন্দো বস্ত ছিল । কাজেই নিমন্ত্রণ রক্ষা করিতে পারিলাম না । কুমার স্বামী কাল কেম্বি জে আসিয়াছেন। কাল রাত্রে এখানকার "ভারতীয় মজলিসে” একটা বক্তৃতা করিয়াছেন। বক্তৃতার বিষয় * ভারতীয় চিত্রকলায় আধ্যাত্মিকতা।” এই প্ৰবন্ধ বেলজিয়াম হইতে প্রকাশিত “আইসিস” পত্রিকায় প্ৰকাশিতব্য রচনার কিয়দংশ । আইসিসের এই সংখ্যায় প্ৰাচীন ভারতবর্ষের বিজ্ঞান সম্বন্ধে নানা প্ৰবন্ধ