পাতা:বর্ত্তমান জগৎ দ্বিতীয় ভাগ.pdf/২৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রসায়ন-মন্দির সেদিন য়। গুসন সাহেব কেম্বি জ বিদ্যালয়ের রসায়নাধ্যাপক পোপ। সাহেবের সঙ্গে পরিচিত করিয়া দিয়াছেন । আজ রাসায়নিক বিজ্ঞানালয়ে পোপের সঙ্গে দেখা করিতে গোলাম । ইনি আমাদের বাঙ্গালোরের টেকনিক্যাল ও বিজ্ঞান বিদ্যালয়ের সংবাদ রাখেন দেখিতে পাইলাম। সেখানে ভাল কাজ হইতেছে না। এ কথাও ইনি শুনিয়াছেন। জগদীশচন্দ্ৰ এবং প্রফুল্লচন্দ্রর কথাও ইনি বলিলেন । ভারতে বিজ্ঞানশিক্ষার অনুষ্ঠানাদি সম্বন্ধে কিছু কথা হইল। পরে প্ৰায় এক ঘণ্টাকাল ধরিয়া ইনি ল্যাবরেটরীর সকল গৃহ ও সরঞ্জাম দেখাইলেন । ইনি বহু বড় রাসায়নিক ল্যাবরেটরির পক্ষপাতী নন। বিজ্ঞানজগতে আজকাল প্ৰতি বৎসর নানাবিধ উন্নতি সাধিত হইতেছে। শীঘ্র শীঘ্ৰ পুরাতন প্ৰথাগুলি বৰ্জন আবশ্যক হইয়া পড়ে। খুব বেশী খরচ পত্ৰ করিয়া বিজ্ঞানালয় প্ৰস্তুত করিলে লাভ নাই । কারণ অল্পকালের ভিতর সেগুলির প্রয়োজনীয়তা কমিয়া আসে। ফলত: অপব্যয়ের সীমা থাকে না । এজন্য ছোট ছোট রাসায়নিক পরীক্ষা-গৃহ প্ৰস্তুত করাই কৰ্ত্তব্য । কোৰ্থিজের রসায়ন-গৃহে আজকাল সৰ্ব্বসমেত ৭০০ ছাত্র শিক্ষালাভ করিতেছে। এক সঙ্গে ২০০ জন ছাত্র ল্যাবরেটরীতে কাজ করিতে পারে। বিজ্ঞানগৃহ প্ৰস্তুত করিতে • • •,• ০০২ টাকা খরচ হইয়াছিল এবং মোটের উপর ৩০০,০০০২ টাকার মালমসলা উপকরণ ইত্যাদি ক্রয় করা হইয়াছে। ছোট বড় ৮,১০টা বক্তৃতাগৃহ দেখিলাম। সর্ব-বৃহৎ