পাতা:বর্ত্তমান জগৎ দ্বিতীয় ভাগ.pdf/২৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R 7- दर्रान् अं१९ সৰ্ব্বসমেত আটটা বক্তৃতা দিতে হইবে । নীতিবিজ্ঞানের ইতিহাসে খৃষ্টধর্মের প্রভাব এই বক্তৃতাবলীর প্রতিপাদ্য বিষয়। কানিংহামকে ধনবিজ্ঞানের ইতিহাস লেখক রূপেই জানিতাম। ইংলণ্ডের শিল্প কৃষি ও বাণিজ্যের ধারা সম্বন্ধে লিখিয়া ইনি প্ৰসিদ্ধ হইয়াছেন । এতদ্ব্যতীত ধনবিজ্ঞান এবং রাষ্ট্র-বিজ্ঞানের পরস্পর সম্বন্ধ বিশ্লেষণ করিয়া ইনি এক গ্রন্থ লিখিয়াছেন ; তাহা ও সমাজ-তত্ত্বের আলোচনায় সকলে ব্যবহার করিয়া থাকেন । চীন জাপান ও ভারতবর্ষ সম্বন্ধে ইনি কোন আলোচনা এখনও করেন নাই। ইনি বলিলেন, “ত্রিশ বৎসর পূর্বে আমি একবার ভারতবর্ষে গিয়াছিলাম। প্ৰধানতঃ দক্ষিণ ও পশ্চিম ভারতে আমার পর্যটন আবদ্ধ ছিল । প্ৰাচ্য-ভারতের মধ্যে কাশী পৰ্য্যন্ত গিয়াছি । সেই পৰ্য্যটনে ভারতবর্ষসম্বন্ধে বিশেষ কোন জ্ঞান লাভ করিতে পারি নাই । তাহার পর ভারতীয় বৈষয়িক তথ্যাদি সঙ্কলন বা সমালোচনাও কখন করি নাই । মাঝে মাঝে গবৰ্ণমেণ্ট প্ৰকাশিত কয়েক খান বৈষয়িক বিবরণী সম্বন্ধীয় 'কুৰুক।” দেখিয়াছি, সেগুলি মনে হয় যথেষ্ট যোগ্যতা ও পাণ্ডিত্যের সাহিতই সঙ্কলিত হইয়াছে । আজকাল বোধ হয় স্যার থিয়োডোর মরিসন ভারতের বৈষয়িক তথ্য ও তত্ত্ব সম্বন্ধে বিশেষজ্ঞ। চীন, জাপান বা পারস্য ইত্যাদি দেশের আর্থিক অবস্থা আমার জানা নাই।” আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, “আপনি কি বিশ্বাস করেন যে, পৃথিবীর সকল দেশেই ক্ৰমশঃ এক ছাচের কৃষি শিল্প ও ব্যবসায় প্ৰবৰ্ত্তিত হইতে থাকিবে ? আধুনিক ইউরোপের বৈষয়িক জীবন ও বৈষয়িক আদর্শ কি জগতের সর্বত্র প্রসার লাভ করবে ?” ইনি বলিলেন, “প্ৰাচ্য-জগতের কথা আমি বেশী জানি না। ওদেশের ভবিষ্যৎ বৈষয়িক গতি কোন দিকে তাহা ইঙ্গিত করা আমার পক্ষে কঠিন। তবে এ কথাও সত্য যে,