পাতা:বর্ত্তমান জগৎ দ্বিতীয় ভাগ.pdf/৩১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ras 8 বৰ্ত্তমান জগৎ হয় । মোটের উপর, নগর-গঠনের ইতিহাস আলোচনা করিতে যাইয়া মানবসভ্যতার ইতিহাসের অন্যতম দিক উদযাটিত হইয়া পড়ে। বস্তুতঃ। নগর-বিজ্ঞান সভ্যতা-বিজ্ঞানেরই নূতন এক অধ্যায়। গেডিজ বলিলেন, “এডিনবার সহর নগরবিজ্ঞান-আলোচনাকারীদিগের পক্ষে যথেষ্ট সহায়তা করে। প্রথমতঃ এখানে প্ৰাচীন অবস্থা একেবারে লুপ্ত হইয়া যায় নাই। প্ৰাচীনের পার্শ্বেত নবীন গড়িয়া উঠিয়াছে। প্ৰত্যেক যুগের শৃঙ্খলা ও বিশৃঙ্খলা, সৌন্দৰ্য্যজ্ঞান ও কারুকাৰ্য্য এবং কদৰ্য্যতা ও সৌষ্ঠবহীনতা এক সঙ্গে এই নগরে দেখিতে পাইবেন । দ্বিতীয়তঃ, এডিনবারা নিতান্ত ক্ষুদ্রও নয়, আবার লণ্ডনের মত একটা বিশাল জনপদ ও নয়। নিতান্ত ক্ষুদ্র হইলে নগরজীবনের বৈচিত্র্য ও ঐশ্বৰ্য্য এখানে থাকিত না । অথচ বৃহৎ মহাদেশ বিশেষ । হইলেও এডিনবারাকে নগর বলিতে সঙ্কোচ বোধ করিতে হইত।” “তাড়াহুড়া করিয়া নগর নিৰ্ম্মিত হইলে সৌন্দর্য্যের ব্যাঘাত হয়। মধ্যযুগে তাহার যথেষ্ট প্ৰমাণ আছে। প্রাচীনকালের নগরে গৃহ, পথ, উদ্যান-সকল বস্তুই বেশ সামঞ্জস্য সহকারে সন্নিবেশিত হইত। হঠাৎ যুদ্ধবিগ্রহের প্রভাবে অজস্র অর্থব্যয়ে নগরবেষ্টণী প্ৰাচীর নিৰ্ম্মাণ করা আবশ্যক হইল, তখন বাড়ী ঘর রাস্তাঘাট ভাঙ্গিয়া চুরিয়া প্ৰাচীন সৌন্দৰ্য্য ও সামঞ্জস্য ধ্বংস করা হইল। এদিকে নগরের ভিতরেও ঘেসা ঘেঁসি, স্থানাভাব, সঙ্কীর্ণ গলি, বহুতলবিশিষ্ট ঘর, অপরিচ্ছন্নতা, ইত্যাদি প্রভাব আসিয়া পড়িল। রণসজ্জার জন্য প্ৰস্তুত থাকিয়া নগরের অধিबौद्र शाश्J & cगोन्गार्श्व खलाश्यानि १ि८ङ दांक्षा श्शेन । আজকালও সৌন্দৰ্য্যহীনতা এবং অসামঞ্জস্যের অনেক সাক্ষ্য পাইবেন। অষ্টাদশ শতাব্দীতে এডিনবরায় এক বিচিত্র সৌন্দৰ্য্যের সৃষ্টি হইয়াছিল। সেই যুগে জাৰ্ম্মাণ দার্শনিক কাণ্ট-প্ৰবৰ্ত্তিত দর্শনবাদের প্রভাবে এক