পাতা:বর্ত্তমান জগৎ দ্বিতীয় ভাগ.pdf/৩২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

No o বৰ্ত্তমান জগৎ কিন্তু সাধারণ ল্যাবরেটরীতে সেগুলি সরাইবার সুবিধা থাকে না-মেজের সঙ্গে কলগুলি গাথা থাকে। আমরা একটা নূতন নিয়ম করিয়াছি । মেজেতে রেল পাতা আছে। তাহার উপর বসাইয়া যেরূপ ইচ্ছা কলগুলি ঘুরাইতে ফিরাইতে পারি।” একানকার কেমিক্যাল ল্যাবরেটরীতেও দুই একটা নুতন নিয়ম দেখিতে পাইলাম। ঘুরের দূষিত বায়ু তাড়াইবার জন্য টেবিলের প্রত্যেক বিভাগের সঙ্গে একটা করিয়া আবৃত ছিদ্র আছে । তাহার সঙ্গে ঘরের ভিতরকার বড় নলের যোগ আছে। তাহাতে সর্বদা কল ঘুরিতে থাকে । তাহার ফলে হাওয়া নলের ভিতর দিয়া বাহিরে চলিয়া যায় । কারখানা ও ল্যাবরেটরীর সকল বিভাগ দেখিয়া অধ্যাক্ষের সঙ্গে তাহার কামরায় ফিরিয়া আসিলাম । অধ্যক্ষ বলিলেন, “মহাশয় লোহা লক্কড় সাজ সরঞ্জাম ত দেখিলেন। আমরা এই সমুদয়ের যথাসম্ভব উচ্চশ্রেণীর আয়োজনই করিয়াছি-ছাত্ৰাদিগকেও সাধ্যমত উন্নত শিক্ষা দিয়া থাকি । কিন্তু এই শিক্ষার ফলে দেশের কোন প্রকার মঙ্গল হইতেছে বলিয়া আমার বিশ্বাস হয় না । আমাদের সমাজ ও পরিবার ক্রমশঃ অধঃপাতে যাইতেছে। কেবল মাত্র টাকা রোজগার করিতে পারিলেই কি সুখী হওয়া যায় ? আমাদের মনুষ্যত্বই যে লোপ পাইতেছে। কল কারখানার প্রভাবে মানুষ স্বকীয় শিল্পজ্ঞান এবং সৌন্দDDDD DDD DBLLLYSS BDKBD LDDBBDDBD BD DBYB নিকট দাড়াইয়া থাকিতে হয় মাত্র । নিজ হাতে কোন কাজ করিতে হয় না-বুদ্ধি খাটাইয়া কোন সমস্যা পূরণ করিতে হয় না। কলের দাস স্বরূপ মানুষেরা নিজীব-ভাবে কারখানার মধ্যে কাজ করে। কলগুলি মানুষের কৰ্ম্মে সাহায্য করে না-মানুষই কলের কেনা। চাকর । এমন কারবার নাই যেখানে মানুষের মনুষ্যত্ব লুপ্ত না হইতেছে। কল কারখানা