পাতা:বর্ত্তমান জগৎ দ্বিতীয় ভাগ.pdf/৩৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্লাসগোর টেকনিক্যাল কলেজ ও কলাভবন VV), আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, “আপনাদের কলেজ হইতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্প-বিভাগের প্রভেদ কি ?” সম্পাদক বলিলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সকল বিষয় শিখান হয় না। আমরা তাহাও শিখাইয়া থাকি। নৌশিল্প, সমুদ্র-পোতনিৰ্ম্মাণ, জাহাজ ১ালান, রুটি-প্ৰস্তুত-করণ, আকর-বিষয়ক এঞ্জিনীয়ারী, ছাপাখানার কাজ, ইত্যাদি অনেক নূতন নূতন বিষয়ে আমরা শিক্ষা দিই। রসায়ন, মেক্যানিক্যাল এঞ্জিনীয়ারিং, ইলেক্টিক্যাল এঞ্জিনীয়ারিং ইত্যাদি যে সকল বিষয়ু দুই বিদ্যালয়েই শিখান হয় তাহাতেও আমাদের স্বাতন্ত্র্য আছে : আমরা ছাত্রগণকে সুদক্ষ কারিগর করিয়া তুলিতে চাহি । বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রেরা পুথিগত বিদ্যা বেশী শিখে-তত করিতকৰ্ম্মা হইয়া উঠিতে পারে না ।” আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, “আপনাদের ল্যাবরেটরী ও কারখানাগুলি কি কেবল পরীক্ষাগার এবং অনুসন্ধান্যালয় মাত্ৰ ? এই সকল স্থানে যে সমুদয় বস্তু প্ৰস্তুত হয় সেগুলি বাজারে বিক্রয় করা হয় কি ?” ইনি বলিলেন, “ব্যবসায় চালান এবং শিক্ষা দান করা-দুই কাৰ্য্য এক সঙ্গে চলিতে পারে না । একমাত্র ছাত্রগণকে শিখাইবার জন্যই আমাদের সকল প্ৰকার খরচ পত্র হইয়া থাকে। ছাত্রেরা যথার্থ শিক্ষা পাইলেই আমাদের ব্যয় সার্থক হইল মনে করি । আমাদের টাকা পয়সার লাভ চাহি না ।” এডিনবারার হেরিয়ট ওয়াট শিল্পবিদ্যালয়ের সম্পাদক ও এই কথা বলিয়াছিলেন । আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, “ল্যাবরেটরী এবং কারখানাগুলিকে ব্যবসায়ের কেন্দ্ৰ বিবেচনা করিলে ছাত্রেরা প্ৰথম হইতেই লাভ ক্ষতির হিসাব করিতে অভ্যন্ত হয় না কি ?” সম্পাদক বলিলেন, “সেজন্য আমরা বড় বড় ল্যাবরেটরী প্ৰস্তুত করিয়াছি। সেখানে মাঝারি কার