পাতা:বর্ত্তমান জগৎ দ্বিতীয় ভাগ.pdf/৩৮

Rr বৰ্ত্তমান জগৎ মিশর অপেক্ষ ফ্রান্সের প্রাকৃতিক সৌন্দৰ্য্য বেশী । সমস্ত দেশই যেন একখানা সবুজ রংয়ের বাগান। তাহার মধ্যে স্তরে স্তরে সাজান উচ্চ নিম্ন ভূমি অনেক । মিশরের ন্যায়। এ-অঞ্চল একটানা সমতল ক্ষেত্র নয়। ক্ষুদ্র বৃহৎ পাহাড় রোণ-উপত্যকার স্থানে স্থানে দেখিতে পাওয়া যায়। পৰ্ব্বত পৃষ্ঠে, পর্বতগাত্রে, পর্বতশৃঙ্গে সৰ্ব্বত্রই আবাদ হইতেছে। দাৰ্জিলিঙ্গ, আলমোড়া, নাইনিতাল, শিমলা ইত্যাদি পার্বত্যদেশের চাষ যাহারা দেখিয়াছেন তাহারা রোণ-উপত্যকার কৃষি-প্ৰণালী ও চাযের রীতি বেশ বুঝিতে পারিবেন। পাহাড় কাটিয়া কাটিয়া সিঁড়ির মত ধাপ প্ৰস্তুত করা হইয়াছে। এই ধাপগুলি পৰ্ব্বতের পাদদেশ হইতে শৃঙ্গ পৰ্য্যন্ত বিস্তৃত। এইরূপ স্তরবিন্যস্ত কৃষিভূমির মধ্যে মধ্যে সমতল ক্ষেত্রের বৈচিত্র্যপূৰ্ণ চাষ। জমির দৃশ্যাবলি অত্যন্ত মনোহর । আমাদের চারিদিককার সমস্ত আবেষ্টন হরিদ্বর্ণ। যতদূর চক্ষু যায়পূর্বে পশ্চিমে, উদ্ধে নিম্নে সৰ্ব্বত্র সবুজ রঙ্গের খেলা দেখিতেছি। সবুজ রঙ্গ কোথাও ঘন সন্নিবিষ্ট কোথাও অল্প সঞ্চিত । ফরাসীমাতা সর্বত্রই শস্যশু্যামল বস্ত্রে আবুত হইয়া সন্তানগণকে আশীৰ্ব্বাদ করিতেছেন। মিশর দেখিয়া ভাবিয়ছিলাম, “ধনধান্যে পুষ্পে ভরা” এমনদেশ আর পাইব কি DD DDBSS SBDB BBDBBD DBDBBDDLDD SS sg SBDB BDSgOOS ত্যকার দৃশ্য ফরাসী কবিগণকে তাহদের নন্দন কাননের চিত্র কল্পনায় উদ্বোধিত করিয়া থাকে। সুকুমারশিল্পে, কাব্যে, স্বাপত্যে সর্বত্রই রোণউপত্যকার মূৰ্ত্তি ফরাসী জনগণের আদরণীয় বস্তু। বাস্তবিকই একটা নূতন দেশে আসিয়া পড়িয়াছি। মিশর এত নূতন বোধ হয় নাই। মিশরে ভারতীয় শাকসব্জীই বেশী দেখিয়াছি । এখানকার গাছপালা অভিনব। এতদ্ব্যতীত গৃহনিৰ্ম্মাণ-রীতিও নূতন। লালটালিয় পীরামিডাকৃতি ছাদ মাসেলে আরম্ভ হইয়াছে। রোণ-উপত্যকারী