পাতা:বর্ত্তমান জগৎ দ্বিতীয় ভাগ.pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মার্সেল ও রোণ-উপত্যক R সৰ্ব্বত্র এই ছাদ দেখিতেছি। সবুজ আবেষ্টনের উপর এই রক্তবর্ণ গৃহগুলি নূতন সৌন্দৰ্য্যের খনি বলিয়া মনে হয়। লাইয়ে পৰ্য্যন্ত প্ৰায় ৩০০ মাইল আসিলাম । সমস্ত দেশ ব্যাপিয়া জনপদ ও লোকালয় দেখা গেল। মিশরের ন্যায়। এখানেও বসতি, পল্পী, নগর ইত্যাদি অতি ঘন সন্নিবিষ্ট । কিন্তু লোকসংখ্যা বেশী বলিয়া বোধ হইল না। আবুল, এভিনিয়ে, ভ্যালেন্স ইত্যাদি বড় বড় নগর পথে পড়িল । এই সকল স্থানেই লোকসংখ্যা বেশী । রোণ-উপত্যকার মৃত্তিক ঈষৎ শ্বেতাভ। রোণের জলও শ্বেতাভ। মার্সেলের নিকটবৰ্ত্তী পর্বতগুলিও শ্বেতাভ। লাইয়ো-নগরের যতই সমীপবৰ্ত্তী হইতে লাগিলাম ততই শ্বেতস্মৃত্তিকা ছাড়াইয়া কৃষ্ণ, ধূসর, লাল মৃত্তিক দৃষ্টিগোচর হইল। সাইপ্রেস বৃক্ষ মার্সেল হইতে লাইয়ো পৰ্যন্ত সর্বত্রই দেখিতে পাইলাম। উত্তরাংশে লম্বা লম্বা পপুলার বৃক্ষই বেশী। রাচি, হাজারিবাগ ইত্যাদি পার্বত্যদেশের রাস্তাঘাট যেরূপ প্ৰস্তরময় এবং ঈষৎ শ্বেতবর্ণ, রোণ-উপত্যকার পল্লীগ্রামস্থ ক্ষুদ্র বৃহৎ রাস্তাগুলিও দেখিতে সেইরূপ। কিন্তু গৃহসমুহ দাৰ্জিলিঙ্গ, শিমলা প্ৰভৃতি স্থানের রীতিতে নিৰ্ম্মিত। প্ৰকৃতপ্ৰস্তাবে পাশ্চাত্য গৃহনিৰ্ম্মাণ-রীতিই হিমালয়ের পার্বত্য নগরসমূহে অনুস্থত হইয়াছে। এজন্যই দাৰ্জিলিঙ্গে বাস করিয়া পাশ্চাত্যের স্বদেশ-বাসের সুখভোগ করিয়া থাকেন । আল-নগর মার্সেলের অতি সন্নিকটে । ফ্রান্সের বিখ্যাত কবি মিষ্ট্রাল এই অঞ্চলের অধিবাসী ছিলেন । তিনি সম্প্রতি মারা গিয়াছেন। কিছুদিন পূর্বে ইনি নোবেল পুরস্কার পাইয়াছিলেন। ইনি ফরাসীদেশের দক্ষিণপূর্ব অঞ্চলের উপ-ভাষায় কবিতা রচনা করিতেন । এই অঞ্চল মধ্যযুগের ফরাসী সাহিত্যে সুপ্ৰসিদ্ধ। প্রোভেন্স্যাল-রীতির রচনাকৌশল সমগ্র ফ্রান্সে প্রভার বিস্তার করিত। ইংরাজী সাহিত্যেও এই কাব্য