পাতা:বর্ত্তমান জগৎ দ্বিতীয় ভাগ.pdf/৪১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V o दीéाका छ2९ তার বহিভূতি, কাজেই ভারতীয় সমাজবিজ্ঞানে তাহার। এখনও পারদর্শী হইতে পারে নাই । আমরাও এজন্য বিলাতী ধন-বিজ্ঞান বুঝিয়া উঠিতে পারি না । আশ্চর্যের কথা। এই যে, এখানকার করিত্যেকৰ্ম্মা লোকেরা ধন-বিজ্ঞানবিষয়ক গ্ৰন্থকারাদিগকেও মানুষের মধ্যে গণ্য করেন না । তাহারা ইহাদের পুথিগত বিদ্যার কোন মূল্যই দেন না । লৌহ কারখানার সকল বিভাগ দুই ঘণ্টা ধরিয়া দেখিলাম। পরে ম্যানেজিং ডিরেক্টার মহাশয়ের সঙ্গে আলাপ হইল । তিনি বলিলেন, “মহাশয়, অধ্যাপকেরা ধনবিজ্ঞানের কি বুঝেন ? মাৰ্ণাকেই বলুন, আর নিকলসনই বলুন, আর আমাদের লীড়ন্সের ছোকরা অধ্যাপক ম্যাকগ্রেগরের ত কথাই নাই ; ইহঁরা কখনও ব্যবসায় দেখিয়াছেন কি ? কখনও ২০ ০০ লোকের সঙ্গে মিশিয়া কারবার করিয়াছেন কি ? এই প্ৰকাণ্ড গৃহের মালমশলা, লোহা-লক্কড়, লোকজনের ভার লইয়া তাহার পরিচর্য্যা দ্বারা লাভ বাহির করিতে পারিয়াছেন কি ? ইহঁরা যদি এইরূপ কাৰ্য্যে সফল হইতে পারেন। তবে বুঝিব ইহঁরা ধনবিজ্ঞান বুঝেন।” আমি বলিলাম, “মহাশয়, ইহঁদের নিকট বিদ্যা শিখিয়াই ত আপনাদের যুবকসম্প্রদায় মানুষ হইতেছে । তাহারাই ত ভবিষ্যতে আপনাদের সকল বিভাগের কৰ্ত্ত হইবে।” ইনি বলিলেন, “না। এই সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকগণ কাহাদিগের শিক্ষক জানেন ? যাহারা কখনও শিল্পকৰ্ম্মে আসিবে না অথবা ব্যবসায়ে লাগিবে না ইহঁরা তাহদের উপর পাণ্ডিত্য প্রয়োগ করেন। কিন্তু যাহারা ব্যবসায়ে লাগিয়া যাইবে তাহারা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুথিগত বিদ্যার ধার ধারে না । কৰ্ম্মী লোকেরা, তাহার প্রথম হইতেই আমাদের শিষ্যত্ব গ্ৰহণ করে। আমরাই সেই সকল করিতকৰ্ম্ম লোকের অধ্যাপক এবং এই কারখানাই उाश्वव्र दिखानशाला द नादब्रौि।”