পাতা:বর্ত্তমান জগৎ দ্বিতীয় ভাগ.pdf/৪২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

80 ) বৰ্ত্তমান জগৎ কিন্তু এই প্ৰকোষ্ঠগুলি নিতান্ত ক্ষুদ্র নয়। অল্পায়তন প্ৰকোষ্ঠের ভিতর চলাচল বেশী হয় না। তাহাতে বিবাহের নির্বাচন, ভাববিনিময় এবং কৰ্ম্মবিনিময় শীঘ্রই একঘেয়ে বৈচিত্র্যহীন হইয়া পড়ে। কিন্তু ভারতীয় জাতিগুলির লোকসংখ্যা যথেষ্ট অধিক । তাহার ফলে প্ৰত্যেক জাতির ভিতর উঠানাম এবং আদানপ্ৰদান ভালরূপই হইতে পারে। এইরূপ চিরকালই হইয়ু আসিয়াছে। এই নিমিত্তই জাতিভেদে সামাজিক উন্নতির পথ রুদ্ধ হইতে পারে নাই। যুগে যুগে নব নব আদর্শ গ্ৰহণ করিবার ক্ষমতা সমাজের ভিতর হইতেই উদ্ভূত হইয়াছে। উনবিংশশতাব্দীতে পাশ্চাত্য সংঘর্ষ, পরাধীনতা, রেলগাড়ী এবং সমাজ-সংস্কারের আন্দোলন হিন্দু সমাজকে নূতন এক স্তরে আনিয়া ফেলিয়াছে। তাহার পুরাপুরি ফল এখনও আমরা পাই নাই-কিন্তু কোনদিকে যাইতেছি তাহা বুঝা কঠিন নয়। প্রথমতঃ, অস্পৃশ্য জাতি সম্বন্ধে আমাদের যে সংস্কার জন্মিয়াছে তাহা থাকিবে না। বিংশশতাব্দীর পরে বোধ হয় কাহাকেও অস্পৃশ্য জ্ঞান করিব না। দ্বিতীয়তঃ, শিল্প, ব্যবসায়, কৃষিকৰ্ম্ম, ইত্যাদি অন্নসংস্থানের কোন পথই জাতিগত হইয়া, থাকিবে না। যে কোন জাতির যে কোন লোকেই এই সকল কৰ্ম্মে যোগদান করিতে থাকিবে । উনবিংশশতাবন্দীতে ইংরাজী শিক্ষার প্রভাবে এই কাৰ্য্য সাধিত হইয়া গিয়াছে। এক্ষণে বাস্তবিক পক্ষে, জাতি হিসাবে কোন ব্যবসাই নাই । ইহার ফলে আমাদের বৈষয়িক জীবনে একটা স্বাধীনতা এবং গতিবিধিপ্রিয়তা আসিয়াছে। ক্ষমতা ও যোগ্যতা অনুসারে আমরা সকলেই সকল কৰ্ম্ম করিতে অধিকারী হইয়াছি। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের লোকমত এবং জাতীয় আদর্শও অনেকটা একপ্রকার হইয়া উঠিতেছে। পূর্কের