পাতা:বর্ত্তমান জগৎ দ্বিতীয় ভাগ.pdf/৪৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নব্য ভারতে বিশ্বশক্তি অধ্যাপক আনুইন বলিলেন, “মহাশয়, আজ কাল ভারতবর্ষে মেকলেনীতির বিরুদ্ধে দেশীয় শিক্ষানীতি প্ৰবৰ্ত্তনের জন্য আন্দোলন চলিতেছে শুনিতে পাই। আপনারা পাশ্চাত্য বিজ্ঞান, দর্শন ও সাহিত্য বর্জন করিতে চাহিতেছেন না, অথচ একমাত্র এই বিদেশীয় চিন্তারাঁশির প্রভাবেও জীবনগঠন করতে অস্বীকার করিতেছেন। আপনাদের সনাতন জ্ঞানবিজ্ঞান ও সভ্যতার সঙ্গে নব্য জগতের উৎকর্ষ অঙ্গীভূত করিয়া লইতে আপনার প্রয়াসী হইয়াছেন। এই প্ৰয়াস অত্যন্ত সাধু এবং সুবিবেচনার পরিচায়ক । বাহির হইতে আপনাদের উপর পরকীয় সভ্যতার বোঝা চাপান হইতেছিল। তাহাতে আপনাদের উন্নতি বাধাপ্ৰাপ্ত হইয়াছে বুঝিতে পারি। তাহার পরিবর্তে আপনার স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া আধুনিক সভ্যতা হইতে প্ৰয়োজনীয় অঙ্গগুলি বাছিয়া লইলেই সুফল ফলিবে, এইরূপই আমার বিশ্বাস। কিন্তু বিদেশের আবিস্কারগুলি আপনাদের সমাজে ও সভ্যতায় প্রবিষ্ট হুইবে কি করিয়া ? প্রবিষ্ট হইবার কোন পথ আছে কি ? ভারতবর্ষের বৰ্ণাশ্রম ধৰ্ম্ম কি পরকীয় সভ্যতার অনুষ্ঠানগুলি সহজে গ্ৰহন করিতে অবসর দেয় ?” আমি বলিলাম, “বৰ্ণাশ্রম বলিলে আপনি যেরূপ পরস্পর-বিরোধী এবং স্বস্ব-প্রধান সঙ্কীর্ণ দলভেদ বিবেচনা করিতেছেন তাহা সত্য নয়। তাহা ছাড়া অষ্টাদশ ও উনবিংশশতাব্দীতে বর্ণাশ্রমের ভিতর যে সকল সঙ্কীর্ণতা প্রবিষ্ট হইয়াছিল সেগুলি ক্ৰমশঃ লুপ্ত হইয়া আসিতেছে। সুতরাং ত্যাহার জন্য কোন আশঙ্কার কারণ নাই।