পাতা:বর্ত্তমান জগৎ দ্বিতীয় ভাগ.pdf/৪৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8&V) वरéभांना स्त्र?९ অধিকন্তু, আমাদের অতীত ইতিহাসের সাক্ষ্য গ্ৰহন করিলেই হিন্দু সমাজতত্ত্ব স্পষ্টরূপে বুঝিতে পরিবেন। প্ৰাচীন ও মধ্যযুগে ভারতসমাজ জগতের সকল প্ৰকার শক্তিপুঞ্জ হইতেই নিজ কলেবর পুষ্ট করিয়াছে। গ্ৰীক, রোমাণ, পারস্য, মুসলমান, চীনা, তিব্বতী সকল জাতীয় সভ্যতার অঙ্গ প্ৰত্যঙ্গই আমাদের সমাজে স্থান পাইয়াছে। আমরাও এই সকল সভ্যতাকে নানা উপকরণে ভূষিত করিতে সমর্থ হইয়াছি। অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগ পৰ্য্যন্ত ভারতবাসীরা ভিন্ন ভিন্ন দেশের নানা প্ৰকার আবিস্কার গ্রহণ করিয়াছে। এক্ষণে কেন পরিবে না ? সত্য কথা, আমরা কোন দিনই সোজা একটানা ভাবে গড়িয়া উঠি । নাই । আমরা নিজেদের ভিতরই কত অসংখ্য বৈচিত্র্যের সমন্বয় করিতে করিতে বিকসিত হইয়াছি। ভারতবর্ষ সৰ্ব্ব গ্রাসী, এতদিন আমরা ভিন্ন ভিন্ন পদার্থ হজম করিতে করিতে অগ্রসর হইয়াছি। নূতন শক্তি । ব্যবহার করিবার ক্ষমতা কি এক্ষণে আর নাই ? যতদিন ভারতবর্ষের লোকেরা স্বাধীনভাবে জগতের কৰ্ম্মক্ষেত্রে বিচরণ করিত এবং স্বাধীনভাবে চিন্তা করিবার অগ্রসর পাইত, ততদিন হিন্দু সাহিত্যে, বিজ্ঞানে ও দর্শনে দুনিয়ার নব নব আবিষ্কার সহজে প্ৰবেশ। করিতে পারিত । সংস্কৃত ভাষার ভিতর কোন চিন্তা একবার প্রবেশ করিলে তাহা ক্রমশঃ প্ৰাদেশিক ভাষায় এবং লোক সাহিত্যেও আসিয়া পড়িত। অধ্যাপকগণের গবেষণায়, শিষ্যগণের আলোচনায়, পুরোহিতগণের সাহচর্য্যে, কথক ও পুরাণপাঠকগণের প্রচারে এবং শোভাযাত্ৰা, মেলা, উৎসব, সঙ্গীত ইত্যাদির প্রভাবে কঠিন কঠিন তত্ত্বগুলিও অল্পকালের ভিতর সমাজের সর্বত্র প্রচারিত হইয়া যাইত। প্রয়োজনানুসারে নিত্য নূতন পারিভাষিক শব্দের স্বষ্টি হইত। গ্ৰীক জ্যোতির্বিদগণের আবিষ্কার বরাহমিহির গ্ৰহণ করিলেন। পঞ্জিকার সাহায্যে সেগুলি ।