পাতা:বর্ত্তমান জগৎ দ্বিতীয় ভাগ.pdf/৪৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नदJ डांब्रgड विश्शखि 8 R এক্ষণে নিরক্ষর কৃষকেরও সহজে বোধগম্য হইয়া রহিয়াছে। খনার বচনই বা কে না জানে ? আমরা পাশ্চাত্য সভ্যতার প্রয়োজনীয় বস্তুগুলি এই উপায়েই আধুনিককালে ও গ্ৰহণ করিতে পারিব । জোর করিয়া গ্ৰহণ করাইবার পরিবৰ্ত্তে আমরা নিজেদের অভাব অনুসারে গ্রহণ করিবার সুযোগ পাইলেই কোন গোল বাধিবে না। উনবিংশ শতাব্দীতে সে সুযোগ পাই নাই। এই জন্যই পরকীয় সভ্যতা গ্ৰহণ করিতে যাইয়া পরানুক্ষরণ ও পরানুবাদ মাত্র করিতে পারিয়াছি । বিংশশতাব্দীতে আমরা নিজেদের প্রয়োজন দেখিয়া, নিজেদের স্বভাব বুঝিয়া, নিজেদের কৰ্ম্মক্ষেত্র অনুসারে। ইউরোপীয় সভ্যতার সঙ্গে বুঝা পড়া করিতে প্ৰবৃত্ত হইয়াছি। এই বুঝা পড়ার ফল প্ৰধানতঃ আমাদের মাতৃভাষায় দেখিতে পাইবেন । আমাদের মাতৃভাষা কোন জাতিবিশেষের বা ধৰ্ম্মবিশেষের সম্পত্তি নয়। হিন্দু মুমলমান নমঃশূদ্র ব্ৰাহ্মণ সকলেরই এক মাতৃভাষা। বিবাহের নিয়ম এবং রান্নাঘর ও পূজা-পদ্ধতি বিভিন্ন রহিয়াছে সত্য, কিন্তু ভাষা এবং ভাষার অন্তনিহিত ভাব ও চিন্তা প্ৰণালী সকল সম্প্রদায়েরই একরূপ। মাতৃভাষার কোন বিভাগে পাশ্চাত্য জ্ঞান একবার স্থান পাইলে অল্পকালের ভিতরেই তাহা নৃত্যুনাধিক পরিমাণে আপামর জনসাধারণের সম্পত্তি হইয়া পড়িবে। আপনি “স্বদেশী আন্দোলনে”র কথা বোধ হয় শুনিয়াছেন । এত তথাকথিত প্ৰভেদ স্বত্ত্বেও সমগ্র বাঙ্গালী জাতি এক হইল কি করিয়া ?” আনুইন বলিলেন, “স্বদেশী আন্দোলনের সফলতা দেখিয়া আমারও বিশ্বাস জন্মিয়াছিল যে, ভারতবর্ষের বর্ণাশ্রম, জাতিভেদ, দলাদলি, ধৰ্ম্মবিদ্বেষ এবং গোড়ামি ও সঙ্কীর্ণতা সম্বন্ধে যাহা শুনিয়া থাকি তাহা সত্য নয়।”