পাতা:বর্ত্তমান জগৎ দ্বিতীয় ভাগ.pdf/৪৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিস্কুট-ফ্যাক্টরীর ভিতর আরও অনেক লক্ষ্য করিবার বিষয় পাইলাম। প্রথমতঃ, এখানকার ঘরগুলিতে আলোক ও বায়ুর গতিবিধি বেশ সহজে হয়। স্বাস্থ্যরক্ষার দিকে সকলেরই দৃষ্টি আছে। সাধারণ কারখানায় মনিবেরা যেরূপ ঘরে কল রাখিতে ইচ্ছা করেন। সেইরূপ ঘরেই রাখিয়া থাকেন। আইনের দ্বারা বাধ্য না হইলে তঁাহারা শ্ৰমজীবীদিগের জন্য কাৰ্য্যালয়গুলির সুবন্দোবস্ত করেন না । কিন্তু সমবায়সমিতির, এই বিস্কুট-ফ্যাক্টরীতে স্বার্থের দ্বন্দ্ব নাই। লাভ ক্ষতি যে সকলেরই পক্ষে সমান। কাজেই জীবনধারণের নিয়ম পালন করায় কারখানার সকলেরই সমান স্বার্থ। দ্বিতীয়তঃ, বিবাহিত রমণীকে কারখানায় নিযুক্ত করা হয় না। জিজ্ঞাসা করিয়া বুঝিলাম যে, পারিবারিক জীবনের উন্নতি বিধান করিাবার জন্য এই নিয়ম হইয়াছে। এই উদ্দেশ্যে বিবাহিতা স্ত্রীকে নিজগৃহের সকল প্রকার কৰ্ম্মে নিযুক্ত রাখিবার জন্য ইহার চেষ্টত। রামণীর নিজ পরিবারের সুখ দুঃখ গৃহস্থালী ইত্যাদিতে মনোযোগী না হইলে সমাজ টিকিবে না-সমবায়াসমিতিরা ইহা বুঝিয়াছেন, সুতরাং সমবেত উৎপাদনের নিয়মে বিলাতে একটা সামাজিক ও নৈতিক আন্দোলনের সূত্রপাত হইয়াছে বুঝিতেছি। তৃতীয়তঃ, ৮ ঘণ্টার বেশী কাজ কাহাকেও করিতে হয় না। ইংলণ্ডে । ঘত প্ৰকার শিল্প আছে সকল শিল্পের শ্রমজীবীরা দলবদ্ধ হইয়া এক a3S Trade Union ri “efāRÌ 7ffS” Fra Sf33ft i et ২০০ বৎসর হইতে এই সকল ইউনিয়নের কাৰ্য্য হইতেছে। ইহাদের প্ৰবল চেষ্টায় অনেক সময়ে ধনী মহাজনেরা ইহাদের স্বাৰ্থ অনুসারে ফ্যাক্টরীর নিয়ম বদলাইতে বাধ্য হইয়াছেন। সম্প্রতি বিলাতী ট্ৰেডইউনিয়ানসমূহ স্থির করিয়াছে যে, কোন শিল্প-কারখানায় শ্রমজীবীরা।