পাতা:বর্ত্তমান জগৎ দ্বিতীয় ভাগ.pdf/৪৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 MeV) বৰ্ত্তমান জগৎ সামাজিক ও আর্থিক অবস্থা দেখিবার আশা করিতে পারি। বস্তুতঃ বুঝিতেছি, এ আশা নিতান্তই অমূলক। ইংরাজের জন্মভূমি, স্কচজাতির জন্মভূমি এবং আইরিশের জন্মভূমি সত্য সত্যই তিনটি স্বতন্ত্র দেশ । ল্যাঙ্কাশিয়ার, অক্সফোর্ডশিয়ার বা কর্ণওয়ালকে ইংরাজিজাতির স্বদেশের বিভিন্ন অঙ্গ বিবেচনা করা যাইতে পারে। কিন্তু স্কটল্যাণ্ড বা আয়ার্ল্যাণ্ডকে সেই হিসাবে এক দেশের বিভিন্ন অংশ বিবেচনা করা অসম্ভব। ইংরাজের জন্মভূমি বলিলে ইংলণ্ডকেই বুঝিয়া থাকেন-স্কটল্যাণ্ড বা আয়ার্ল্যাণ্ডকে তাহার অন্তৰ্গত ভাবেন না । United Kingdom বা যুক্তরাজ্য একটা কাল্পনিক দেশ, রাষ্ট্র-নীতি-নিয়ন্ত্রিত দেশসমষ্টি --বাস্তবিক পক্ষে কোন জাতিবিশেষের স্বদেশ নহে। আইরিশের šikt 3 3ā Emerald Isle-csā cits-sta Pī করেন-স্কচের ও Caledonia-কেই জন্মভূমি বিবেচনা করেন। সমাজের পার্থক্য, ভাষা ও সাহিত্যের পার্থক্য, রীতিনীতির পার্থক্য ইত্যাদি পার্থক্য ত আছেই । কেবল তাঁহাই নহে, আর্থিক এবং বৈষয়িক অবস্থার পার্থক্যও যৎপরোনাস্তি। এই জাতিত্ৰয় এক পরিবারের তিন কন্যা বা তিন ভগ্নী কখনই হইতে পারে না। আয়ল্যাণ্ড ইহাদের মধ্যে দরিদ্রতম। ঐশ্বৰ্য্যশালী যুক্ত-রাজ্যের ভিতর দরিদ্রতম অঙ্গ বলিলে হয় তা আয়ার্ল্যাণ্ডকে দরিদ্র বিবেচনা করা কঠিন হইতে পারে। বাস্তবিক পক্ষে নরওয়ে, সুইডেন, ডেনমার্ক, হল্যাণ্ড, বেলজিয়াম ইত্যাদি ইউরোপের ক্ষুদ্রতম দেশসমূহ অপেক্ষা আয়ল্যাণ্ড দরিদ্রী-ডাব্লিন ইউরোপের দরিদ্রতম নগর । কাজেই আয়ার্ল্যাণ্ডে পদাৰ্পণ করিয়া অবধি ইংরাজের জন্মভূমি হইতে দূরে সরিয়া আসিয়াছি বলিতে বাধ্য। এখানে ইংরাজের ভাষা ও সাহিত্য পাইতেছি-কিন্তু ইংরাজের গৌরব । ७ वेश्वर्षा श्राशे ना ।