পাতা:বর্ত্তমান জগৎ দ্বিতীয় ভাগ.pdf/৫২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমবায়-পন্থী ভাবুক কবি জর্জ রাসেল 8ሕsዓ . দেখা হইবামাত্র রাসেল বলিলেন, “মহাশয়, ভারতবর্ষের চিন্তাশীল লোকেরা ইউরোপীয় ফ্যাক্টরী-বিজ্ঞানে মুগ্ধ হইতেছেন না দেখিয়া আমি যারপরনাই সন্তুষ্ট । কারণ, আমরাও আয়ল্যাণ্ডে ইউরোপীয় সভ্যতার বিরুদ্ধে প্ৰতিবাদ কাৰ্য্যে পরিণত করিতেছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পল্লী-স্বরাজ ব্যতীত মানবের সামাজিক ও আধ্যাত্মিক জীবনের পূর্ণ বিকাশ হইতে পারে না। লম্বা লম্বা বৃহদাকার ব্যারাক বাস করিয়া নগরের নরনারীগণ মনুষ্যত্বহীন হইয়া পডিয়াছে। উনবিংশ শতাব্দীর নগর সভ্যতার বিষময় ফল বুঝিতে এখন আর কাহারও বাকী নাই। এক্ষণে পল্লীসভ্যতার প্রবর্তন না করিলে মানব-সমাজে সুখ আসিবে না ।” আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, “নগর-সভ্যতা এবং ফ্যাক্টরী-জীবনের অসম্পূর্ণতা ও দুঃখদারিদ্র্যগুলি নিবারণ করিবার জন্য ইউরোপে নানা WCrict 3 (St. f3. p Factory Acts, Housing Acts, Feeding the Poor Acts, Sanitary Inspection Acts, Fresh Air Movements, Municipal Aids is fig at 3 ifs east এবং কৃষিজীবী দিগকে সুখী করিবার ব্যবস্থা হইতেছে না কি ? এই যে আজকাল ডাবলিনে। Civic Exhibition হইতেছে তাহার দ্বারা দরিদ্র জনগণের স্বাস্থ্য ও শক্তি বাড়াইবার সূত্রপাত করা হইতেছে না কি ? সরকার হইতে এত অর্থব্যয় করিয়া জনসাধারণের জীবনে আনন্দ ও মধুরতা প্ৰবৰ্ত্তন করিবার প্রয়াসকে আপনি কি চক্ষে দেখিতেছেন ? ইনি বলিলেন, “দূর ও বাহির হইতে মনে হইবে যে, রাষ্ট্র যখন Socialist হইতে চলিল তখন ধনী মহাজনাদিগের উপর কড়া হারে খাজনা বসাইয়। দরিদ্র জনসাধারণের সুখ বিধানই করা হইতে থাকিবে । জনগণের জন্ম হইতে মৃত্যুপৰ্য্যন্ত সকল অবস্থায়ই সরকার অর্থ সাহায্য করিতেছেন। জলদান, অন্নদান, বস্ত্ৰদান, ঔষধদান, বিদ্যাদান—ইত্যাদি সকল প্রকার