পাতা:বর্ত্তমান জগৎ দ্বিতীয় ভাগ.pdf/৫৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এবং প্রকৃতিপরায়ণতা ছিল খ্ৰীষ্টধৰ্ম্মের প্রভাবে তাহা বিশেষরূপেই মলিন হইয়া গিয়াছে। অন্য দেশের কথা জানি না। আয়ল্যাণ্ডে অন্ততঃ। খ্ৰীষ্টপ্রভাৰে ক্ষতি হইয়াছে, বিন্দু মাত্র উপকার সাধিত হয় নাই। সরল সহজ আনন্দময় প্রকৃতি-পূজার পরিবর্ভে আমরা কতকগুলি মতবাদ এবং আনুষ্ঠানিক ও বাচনিক স্বৰ্গতত্ত্ব ও নরকতত্ত্ব শিখিয়াছি। আমাদিগকে আত্মার কথা, ঈশ্বরের কথা, পরজন্মের কথা ভুলানি হইয়াছে। কিন্তু ভুলিয়াছি কি ? না-আয়ল্যাণ্ডের কোন ভোকই সত্য ভাবে খ্ৰীষ্টান নয়। বিশেষতঃ আইরিশ জাতির নামজাদা যে কোন লোকের ধৰ্ম্মজীবন আলোচনা করুন, দেখিবেন, তাঁহারা সকলেই অ-খৃষ্টান, কেন্টসকলেই আত্মার স্বাধীনতা, মানুষের দেবত্বপ্রাপ্তি এবং সর্বময় ব্ৰহ্মের অস্তিত্ব স্বীকার করেন। খাটি খৃষ্টমতাবলম্বী কাহাকেই পাইবেন না। আমাদের দার্শনিক বার্কলে খৃষ্টান ছিলেন না। ঐতিহাসিক লেকি খৃষ্টান ছিলেন না। বৰ্ত্তমানে নাট্যকার সীদ খৃষ্টান নন, কবিবর মীটস খৃষ্টান নন। আমার কথাও বলিতেছি—আমি আদৌ খৃষ্টান নহি ।” এই কথা বলিতে বলিতে রাসেল খৃষ্টধর্মের কুফল সম্বন্ধে একটা প্ৰাচীন কাহিনীর সারমর্ম প্ৰদান করিলেন। একজন প্ৰাচীন কেন্ট খৃষ্টধৰ্ম্মাবলম্বী আইরিশ-সমাজ দেখিবার জন্য মৰ্ত্তে আসিয়াছেন। তাহার নাম Oisin, ইনি খৃষ্টধৰ্ম্ম প্রচারক প্যাটকের সঙ্গে অধ্যাত্মতত্ত্ব লইয়া তর্ক করিতেছেন । ওসিন যাহা বলেন তাহাতে ব্যক্তিত্ব, স্বাভাবিকতা এবং জীবনবিকাশের কথা প্রকাশিত হইতেছে। আর খৃষ্টান যাহা বলিতেছেন তাহাতে সাম্প্রদায়িক দলগঠন, সমাজের বন্ধন, আত্মবিকাশের বিয়, এবং মুক্তিপথের বাধাসমূহ স্পষ্ট হইতেছে। উভয়ের তর্কে প্রাচীন Bard বা চারণ স্বাভাবিকতার ও স্বাধীনতার জয় প্রচাঙ্ক