পাতা:বর্ত্তমান জগৎ দ্বিতীয় ভাগ.pdf/৫৪৪

elvo বৰ্তমান জগৎ । তুলিতে পারে নাই। তাহারা সমসাময়িক রাষ্ট্রীয় অত্যাচারের বিরুদ্ধে দণ্ডায়মান হইয়াছে মাত্র -পূর্বে খড়গযুদ্ধ করিতেন, গত শতাব্দীতে। tfects constitutional agitation it it's first উনবিংশশতাব্দীর শেষভাগ হইতে বিগত ২০২৫ বৎসরের ভিতর আয়ল্যাণ্ডে যথার্থ “জাতীয় আন্দোলনের”। সূত্রপাত ও ক্রমবিকাশ হইয়াছে। si> খৃষ্টাব্দে কয়েকজন সাহিত্যসেবীর চেষ্টায় আয়ল্যাণ্ডে “গেলিক লীগ” নামক ভাষা-পরিষৎ স্থাপিত হয়। ইহঁরা প্ৰধানতঃ দুই কাৰ্য্যে মনোনিবেশ করেন। প্রথমতঃ, আইরিশদিগের প্রকৃত মাতৃভাষা সঞ্জীবিত করিবার চেষ্টা চলিতে থাকে। ক্ৰমশঃ বিদ্যালয়ের পাঠ্যতালিকায় গেলিক ভাষার স্থান নির্দিষ্ট করা হয়। দেখিতে দেখিতে লেখক, কবি, গায়ক, সম্পাদক ইত্যাদি নানা শ্রেণীর লোকই আয়ল্যাণ্ডের জাতীয় ভাষায় রচনা প্ৰকাশ করিতে ব্ৰতী হন । বর্তমানে এই ভাষা-পরিষদের ১০০ • শাখা আয়ল্যাণ্ডের নানা কেন্দ্রে অবস্থিত। ইহঁদের অধীনে ১০০ পৰ্য্যটক গেলিক ভাষায় জ্ঞানপ্রচার করিয়া বেড়ান। এতদ্ব্যতীত কয়েকটি শিক্ষক-বিদ্যালয়ও ইহঁরা পরিচালনা করিতেছেন। তাহার সাহায্যে মাতৃভাষায় শিক্ষা দিবার যোগ্যতা লাভ করিয়া শিক্ষকেরা উচ্চ ও নিম্ন বিদ্যালয়ে কৰ্ম্ম গ্রহণ করেন। আড়াই হাজার বৎসরের প্রাচীন ভাষা। এই উপায়ে নবজীবন লাভ করিয়া, জাতীয়তার পুষ্টিবিধানে সাহায্য করিতেছে। “গোলিকলীগের” দ্বিতীয় কৰ্ম্ম লোকসাহিত্যের প্রচার। ইহঁরা দেশের অশিক্ষিত, অৰ্দ্ধশিক্ষিত এবং ইংরাজীতে অনভিজ্ঞ জনসাধারণের আমোদ প্ৰমোদ নৃত্যগীতবাদ্য, এবং রীতিনীতি ও আচার ব্যবহার জাগাইয়া তুলিয়াছেন। এইগুলির অধিকাংশই প্ৰাচীন কেন্টিক জীবনের নিদর্শন। কেণ্টিক আদর্শ এই উপায়ে আয়ল্যাণ্ডের পল্লীতে পল্লীতে