পাতা:বর্ত্তমান জগৎ দ্বিতীয় ভাগ.pdf/৫৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(V9R বৰ্ত্তমান জগৎ এ নিদারুণ শোক ফরাসী কোন দিন ভূলিতে পরিবেন কি ? কিন্তু কোন উপায় নাই। কাজেই ফ্রান্স জাৰ্ম্মাণ-শত্রু রুশের বন্ধু হইয়াছেন। রক্তের টানে জাৰ্ম্মাণের একদলভুক্ত, এবং স্লাভনীয়েরা আর একদলভূক্ত। এই দুই দলের শক্রিতাই বৰ্ত্তমান রাষ্ট্রমণ্ডলের প্রধান কথা । ফরাসী আত্মরক্ষার জন্য রুশিয়ার সাহায্য ও ইংলণ্ডের সাহায্য ভিক্ষা করিয়াছেন। "এদিকে ইংলণ্ডর বন্ধু জাপান এবং পর্তুগাল আমেরিকা, চীন এবং আফ্রিকায়ও ইহঁদের সকলের উপনিবেশও রহিয়াছে। ঘটনাচক্ৰে জাপান আজ রুশিয়ার মিত্ৰ হইলেন। রুশিয়াও আজি ইংলণ্ডের বন্ধু ! এবং ইংল্যণ্ড ফ্রান্সের সহায়ক ! কিন্তু রুশিয়া, জাপান, ফ্রান্স ও ইংলগুের মিলন অতি বীভৎস ব্যাপার । এ মিলন-চক্ৰ কতদিনের সৃষ্টি ? ১৯০৫ সালে এশিয়ার জাগরণের পর। প্ৰকৃত প্ৰস্তাবে মাত্র ৩৪ বৎসর হইল। এই আজীবন শক্ৰগণ মিত্ৰতাপাশে বদ্ধ হইয়াছেন । কিন্তু বিগত ৩৪ বৎসরের ভিতর ইহঁদের যথার্থ মিলন ঘটিয়াছে কি ? কাজেই প্রশ্ন উঠিতেছে—“ইউরোপীয় রাষ্ট্রমণ্ডলের জাতিবিভাগগুলি আর বেশী দিন বৰ্ত্তমান অবস্থায় থাকিতে পরিবে কি ?” বৰ্ত্তমান লড়াইয়ের ফল যাহাই হউক না কেন, রাষ্ট্রমণ্ডলের ভারকেন্দ্র যথাপূৰ্ব্বং তথািপরং থাকিবে না। অনতিদূর ভবিষ্যতেই বিশ্বশক্তির नूडन সমাবেশ ঘটতে বাধ্য। যাহা হউক স্লাভনীয় ও জাৰ্ম্মাণ প্ৰতিদ্বন্দ্বিতা কেবলমাত্র এই দুই জাতির ভিতরই আবদ্ধ থাকিতে পারে না। ফ্রান্স এবং ইংলণ্ড এই পাকের ভিতর আসিয়া পড়িতে বাধ্য হইবেন । এদিকে তুরস্কও সুযোগ পাইয়া স্লাভনীয় প্রদেশের কোন অংশ হস্তগত করিতে চেষ্টিত হইবেন না কি ? তাহার উপর, অষ্টিয়া-হাঙ্গারীর অভ্যন্তরে। যে সকল বিজিত স্লাভনীয় প্রজা রহিয়াছে তাহারাই বা কি বিদ্রোহী