পাতা:বর্ত্তমান জগৎ দ্বিতীয় ভাগ.pdf/৫৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লোকেরা টাকা তুলিয়া লইতে চাহিবে না। বরং নূতন নূতন লোক এবং বিদেশের লোকও আরও টাকা জমা রাখিবে । ফলতঃ ব্যাঙ্কের লোহার সিন্দুকে বেশী টাকা মজুদ থাকিবে । শান্তির সময়ে এই টাকা ব্যবসায়ে খাটান হইত-এক্ষণে ইহা লড়াইয়ের জন্য পূজি রাখা হইবে। স্বদের হার বাড়াইয়া দেওয়াই রাষ্ট্ৰ-তহবিল বাড়াইবার একমাত্র বৈজ্ঞানিক উপায়। ইউরোপের সংকুল রাষ্ট্র এই উপায়ে জনগণের নিকট হইতে প্রচুর ঋণ গ্ৰহণ করিতেছেন। লণ্ডনব্যাঙ্ক পূর্বে কখনও এত উচ্চহারে সুন্দ দিতে প্ৰতিশ্রুত হন নাই। ইহার দ্বারা বুঝিতে হইবে, ইংরাজ সরকারের টাকার অভাব এত বেশী পূর্বে কখনও হয় নাই। অর্থাৎ সমীপবৰ্ত্তী যুদ্ধের জন্য যেরূপ উদ্বেগ ও আয়োজন হইতেছে এরূপ উদ্বেগ ও আয়োজন পূর্বে কখনও করিতে হয় নাই। থাৰ্ম্মমেটার-যন্ত্রের সাহায্যে শরীরের তাপ পরিমাণ করা যায়। ব্যারোমেটার-যন্ত্রের সাহায্যে বায়ুমণ্ডলের চাপ পরিমাণ করা যায়। সেইরূপ একচেঞ্জবাজারের দীর দেখিয়া দুনিয়ার ব্যবসায়-বাণিজ্যের গতিবিধি বুঝিতে পারি। সেইরূপ ব্যাঙ্কের সুন্দ-হার দেখিয়া কৰ্ম্মকৰ্ত্তাদের টাকার খাকৃতি বা প্ৰয়োজন বুঝিতে পারি। ব্যাঙ্ক-বিজ্ঞান এবং এক্সচেঞ্জ-বিজ্ঞান রাষ্ট্র-বিজ্ঞানের মাপকাঠি স্বরূপ। আবার ধন-বিজ্ঞান ও লড়াই-বিজ্ঞানী পরস্পর সম্বদ্ধ। কোন দেশের আর্থিক অবস্থা দেখিলে লড়াইয়ের অবস্থা বুঝতে পারি—আবার লড়াইয়ের অবস্থা জানিলে আৰ্থিক অবস্থা বুঝিতে পারি। এজন্য ইউরোপীয়েরা কুরুক্ষেত্রে অবতীর্ণ । হইবার পূর্বে আর্থিক ও বৈষয়িক ব্যবস্থাগুলি সুচারুরূপে সাজাইয়া । লাইতেছেন। কুরুক্ষেত্রে আসিয়া একবার সাড়াইলে স্থিরভাবে এসব গুছাইবার সহিষ্ণুতা ও সুযোগ থাকিবে কি না সন্দেহ। এজন্য পায়তারা । করিবার অবসরে ব্যবসায়, বাণিজ্য, আমদানী, রপ্তানী, টাকার বাজার,