পাতা:বর্ত্তমান জগৎ দ্বিতীয় ভাগ.pdf/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মিউজিয়াম-পাড়ায় ভারতীয় চিত্রশিল্প Ꮚ Ꭹ চুইলে সেখানে যাইয়া গ্রন্থাদি পাঠ করা যাইতে পারে। বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানকারিগণ গবেষণার সুযোগ ও পান । নিম্নতম বিদ্যালয়ের নিতান্ত শিশু হইতে আরম্ভ করিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর শ্রেণীর ছাত্র গণ এবং প্ৰসিদ্ধ বৈজ্ঞানিকেরা সকলেষ্ট মিউজিয়ামকে শিক্ষা প্ৰতিষ্ঠান স্বরূপ ব্যবহার করিতে অভ্যস্ত । এখানকার বিদ্যালয়গুলিও মিউজিয়ামাদির সঙ্গে সম্বন্ধ রক্ষা কবিয়া চলে। শিক্ষা প্ৰণালীর মধ্যে ভ্ৰমণ, পৰ্য্যবেক্ষণ, ' বস্তুদর্শন, ইত্যাদির প্ৰাধান্য রহিয়াছে ; কাজেই প্রদর্শনী, সংগ্ৰহালয়, ল্যাবরেটরী, কারখানা, বিজ্ঞান-গৃহ ইত্যাদি প্ৰতিষ্ঠানে পৰ্য্যটন ছাত্র ও শিক্ষকগণের অবশ্যকৰ্ত্তব্য । এইজন্য বিদ্যালয়ে ও মিউজিয়ামে সংযোগ অত্যাবশ্যক। লণ্ডনবাসীরা একথা বেশ বুঝিয়াছেন । এই উদ্দেশ্যে মিউজিয়ামের কী স্তুপক্ষের। বিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষক গণকে বিশেষ সাহায্য করেন । আবার বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষেরাও মিউজিয়াম-দৰ্শন শিক্ষা প্ৰণালীর অন্তর্গত করিয়া রাখিয়াছেন । ফলতঃ মিউজিয়ামের যথার্থ উদ্দেশ্য লণ্ডনে সাধিত হইতেছে। কলিকাতার এবং ভারতবর্ষের অন্যান্য স্থানের মিউজিয়ামগুলি কি এই উদ্দেশ্যেই প্রতিষ্ঠিত ? অবশ্য প্ৰতিষ্ঠাতাদিগের জিজ্ঞাসা করিলে উত্তর পাইব “হঁ|” । কিন্তু কাৰ্য্যত: এই সমুদয় কেন্দ্ৰ হইতে শিক্ষা-প্রচার ও জ্ঞান-বিতরণের জন্য বিশেষ কোন ব্যবস্থা করা হয় নাই। তাহা ছাড়া বিদ্যালয়ের শিক্ষা প্রণালীতে মিউজিয়ামাদি দর্শনের কোন স্থানই নাই। কাজেই যাদুঘর যে একটা বিদ্যালয় । डाबू আমাদের গ্রাজুয়েটগণও বুঝিবার অবসর পান না ! লণ্ডনের এই মিউজিয়ামে পশুপক্ষী তরুলতা অর্থাৎ জীবজগতের নানা বস্তু প্ৰদৰ্শিত হইয়াছে। এরূপ সুন্দর সংগ্ৰহালয় জগতে আর