পাতা:বর্ত্তমান জগৎ দ্বিতীয় ভাগ.pdf/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Myr वéभांन'ख्रश्र्9 দৃশ্য বুঝিতে পারেন। ইহার নীচে কোন কথা লিখিবার প্রয়োজন নাই। বর্ষা-ঋতু বুঝাইবার জন্য অবনীন্দ্রনাথ একটি অন্ধকারময় বনভূমিতে তিনটি নৰ্ত্তকীর চিত্র অঙ্কন করিয়াছেন । বৰ্ণ, অঙ্কন, রেখাপাত, মনোভাব, গতি, ভঙ্গী, ইত্যাদি সবই এই চিত্রে সুষ্ঠু হইয়াছে। রমণীত্ৰয়ের আকার কিছু দীর্ঘ সত্য-কিন্তু নৃত্যের অবস্থায় ইহাদিগকে যেরূপ সাজান হইয়াছে তাহাতে সেদিকে দর্শকের চোখ যাইবে না। সকলেই নৃত্যের চিত্ৰ দেখিয়া মোহিত হইবেন ।” i এই গৃহে থাকিতেই প্রাচীন ও আধুনিক চিত্রাবলীর মধ্যে দাড়াইয়া রুশ সমালোচকের সঙ্গে চিত্রশিল্প সম্বন্ধে আরও অনেক কথা হইল। আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, “আমাদের আধুনিক শিল্পীরা অতি ক্ষুদ্রাকার চিত্ৰ আঁকিয়া থাকেন, মনে হইল না কি ? ইহঁরা বড় বড় ছবি আঁকিতেছেন না কেন ? আপনি কি বিবেচনা করেন যে, ইহঁদের সে ক্ষমতা নাই ?” ইনি বলিলেন, “না, ক্ষুদ্র ছবি আঁকিতেই বিশেষ দক্ষতার প্রয়োজন । বড় ছবি অপেক্ষাকৃত সহজ । সুতরাং ভারতবাসীর সেজন্য দুঃখিত হইবার কারণ নাই। সর্বোচ্চ শ্রেণীর শিল্পক্ষমতা আপনাদের আছে-জগতের লোকে এ কথা বলিবে । আমি আপনার স্বদেশকে বৃথা বাড়াইতেছি না।” ইনি আবার বলিলেন, “আপনাদের চিত্রকাৰ্য্যগুলি জগতের সকল প্ৰসিদ্ধকেন্দ্ৰে প্ৰদৰ্শিত করুন। শীঘ্রই আধুনিক ভারতবর্ষ পৃথিবীর মধ্যে উচ্চ সন্মানের যোগ্য হইবে । সাহিত্যচর্চা দ্বারা আপনার জগতে যত প্ৰসিদ্ধ হইতে পরিবেন, শিল্পচর্চা দ্বারা তাহা অপেক্ষা বেশী প্ৰসিদ্ধ হইতে পরিবেন। কারণ আপনাদের সাহিত্য সত্যভাবে হৃদয়ঙ্গম করা বিদেশীয়গণের পক্ষে অসম্ভব। আপনাদের মাতৃভাষায় সুপণ্ডিত না হইলে কেহ সাহিত্যরস উপভোগ করিতে পারিবেন না। অনুবাদ মাত্ৰ পাঠ