পাতা:বর্ত্তমান জগৎ দ্বিতীয় ভাগ.pdf/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইউরোপীয় “নবাভু্যদয়ে”র চিত্রকলা এই লক্ষণ-সমন্বিত করিতে শিখিয়াছেন । মূৰ্ত্তি-চিত্ৰনে শারীরিক সৌন্দৰ্য্যসৃষ্টি ও পররািত্তী যুগের ফল। কিন্তু বোধ হয়। ভারতীয় চিত্রকলায় এই লক্ষণের চর্চা ও সাধনা একেবারেই হয় নাই । এতদ্ব্যতীত চিত্রকরগণের প্রেরণা এবং জীবনযাপনাও অনেকট এক প্রকার। সকলেই রাষ্ট্রের সাহায্যে অথবা ধৰ্ম্ম গুরু এবং ধৰ্ম্মমন্দিরের সংশ্রবে। জীবন যাপন করিয়াছেন । ভিন্ন ভিন্ন রাজসরকার অথবা দেবালয়ের সম্পত্তি হইতে ইহঁদের শিল্পকৰ্ম্মের জন্য অর্থ ব্যয় করা হইত। ভারতবর্ষের ভিন্ন ভিন্ন প্রদেশে এবং ইতালীর ভিন্ন ভিন্ন নগরে এইরূপে সংরক্ষণ-নীতি প্ৰবৰ্ত্তন পূৰ্ব্বক দেবালয়, দেবমূৰ্ত্তি, চিত্রশিল্প, স্থাপত্য, কারুকাৰ্য্য সকলেরই পুষ্টি সাধন করা হইত। কেবলমাত্ৰ রাজপূতানা প্রদেশের ভিন্ন ভিন্ন স্বাধীন ও পরস্পর শত্রু রাষ্ট্র গুলির সঙ্গে ইতালীয় নগরগুলির তুলনা করিলেই বিষয়টা স্পষ্ট হইবে। যোধপুর, উদয়পুর, জয়পুর ইত্যাদি স্থানের চিত্রশিল্প ফ্লোরেন্স, ভেনিস, জেনোয়া ইত্যাদি নগরের চিত্রশিল্পের ন্যায় সংরক্ষণ-নীতির প্রভাবেই পুষ্টিলাভ করিয়াছিল । অধিকন্তু, খ্ৰীষ্টান শিল্পিগণের অনেকেই যথার্থ সাধক ও ভক্ত ছিলেন। কোন কোন চিত্রকর উপাসনা না করিয়া চিত্র আঁকিতে বসিতেন না। তাহার খ্ৰীষ্টধৰ্ম্ম বিষয়ক চিত্রাঙ্কনকে সত্য সত্যই জীবনের ব্ৰতস্বরূপ গ্ৰহণ করিয়াছিলেন । ভারতের শিল্পীরাও এই ভক্তিভাবেই অনুপ্রাণিত হইতেন । হিন্দুর শিল্পশাস্ত্ৰ, নীতিশাস্ত্ৰ ইত্যাদি পাঠ করিলে তাহা বেশ বুঝা যায় । । সুতরাং, ইতালীর রীতিসমূহের ন্যায় ভারতীয় রীতিসমূহও জগতের ইতিহাসে প্রসিদ্ধ হইবার যোগ্য। কিন্তু দুঃখের কথা, আমরা আমাদের শিল্পের পরিচয় কখনই পাই নাই। আমাদের কোন শিল্প আছে তাহাও