পাতা:বর্ত্তমান জগৎ দ্বিতীয় ভাগ.pdf/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

切 ? दéभांना ऊ१९ 线 বিলাতে পরাধীনতা বিশেষ বুঝিতেই পারেন না । ফলতঃ ইহারা ইংরাজদিগের গুণমুগ্ধ হইয়া পড়েন। অবশ্য চিত্ত-সম্মোহনের আর একটা কারণ ও আছে । ভারতবাসী ইংলণ্ডে যে যে বিষয়ে ঐশ্বৰ্য্য সম্পদ ও গৌরব দেখিতে পান আমাদের সেই সেই বিষয়ে সামান্যমাত্ৰ জ্ঞান নাই। উনবিংশ শতাব্দীতে ইংলণ্ড এবং ইউরোপ ঠিক যতখানি উঠিয়াছে আমরা ঠিক ততখানি নামিয়াছি- একথা বলিলে ভুল হইবে কি ? পাশ্চাত্য দেশের সর্ব ও নূতন শিল্প, নূতন বিজ্ঞান, নূতন প্রাসাদ, নূতন কলার বিকাশ নিত্য নিত্য হইতেছে। অথচ এই যুগে ভারতবর্ষে একটি একটি কারিয়া সকল বিষয়ের পতন ও বিনাশ হইয়াছে । পাশ্চাত্য জগতে আশার সঞ্চার অনবরত হইতেছে-আমাদের সংসারে দারিদ্র্য দুঃখ ও নৈরাশ্যই চিরসহচর। এই সংসার হইতে ঐশ্বৰ্যর মহলে প্ৰথম পদাৰ্পণ করিলে চোখ ঝলসিয়া যাইবে না কেন ? পাশ্চাত্য সংসারকে স্বৰ্গ মনে হইবে না কেন ? তখন কারণ বিবেচনা বা বিশ্লেষণ না করিয়াই স্বজাতিকে ধিক্কার দিতে প্ৰকৃত্তি হইবে এবং বিজয়ী উন্নত জাতিকে সৰ্ব্বাংশে অনুকরণ করা লক্ষ্য হইবে । ইহা ত অতি স্বাভাবিক । সুতরাং আধুনিক অনুষ্ঠান বা প্ৰতিষ্ঠান সম্বন্ধে ভারতবর্ষ ও ইংলেণ্ডের তুলনা না করাই বৰ্ত্তব্য। পরন্তু, ইংলেণ্ডের অতুল ঐশ্বৰ্য্য, জগদ্ব্যাপী বাণিজ্যসম্পদ, সুরম্য প্ৰাসাদাবলী এবং বিশাল দোকান বাজার কারখানা দেখিয়াও ভারতবাসীর হতাশ হুইবার প্রয়োজন নাই। একবার মাথা তুলিতে পারিলে সকলেরই অদ্ভুদয়-যুগ অনায়াসে আসিয়া উপস্থিত হয়। ইংলণ্ডর এখন সেই অদ্ভুদয়-যুগ চলিতেছে। সফলতা প্রাপ্ত ইংরাজসমাজ এবং বিফলতাক্রান্ত ভারতবাসীর জীবনে আকাশ পাতাল পার্থক্য থাকিবে-ইহা পূৰ্ব্ব হইতে জানিয়া রাখিলে ইংলণ্ডপ্রবাসী হিন্দুস্থানীর চিত্ত বিচলিত হইবে না।