পাতা:বর্ত্তমান জগৎ দ্বিতীয় ভাগ.pdf/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রুশ ঔপন্যাসিক b>Q করিলাম-“আপনি কবে রবীন্দ্ৰ-কাব্যের প্রথম পরিচয় পান ?” ইনি বলিলেন, “যে দিন নোবেল পুরস্কারের ঘোষণা হয়। তাহার পরে আমি আমার একজন কবিবন্ধুকে “গীতাঞ্জলি” পাঠাই। এই কবি লিথুয়ানিয়াপ্ৰদেশবাসী । ইহঁর চিন্তাপ্ৰণালী অনেকটা রবীন্দ্রনাথের মত । ইনি গ্ৰন্থ অনুবাদ করিলেন । ইতিমধ্যেই রুশ অনুবাদের তিন সংস্করণ হইয়া গিয়াছে।” ইনি “গার্ডেনার” খুলিয়া দেখাইলেন, কোন কোন কবিতা ইনি অনুবাদ করিয়াছেন । “ওগো মা রাজার দুলাল যাবে আজি মোর ঘরের DB KED S DBBu BD sDJSDD uBDBDD BB DBDB BBD BD BD S শীর্ষক কবিতাটি ইহঁর খুব ভাল লাগিয়াছে। ইনি ফ্রান্সের সর্বো-বিশ্ববিদ্যালয় হইতে পদার্থ-বিজ্ঞানে উৎকর্ষের উপাধি পাইয়াছেন। বিজ্ঞান-চৰ্চা ইহঁর পক্ষে স্বাভাবিক। দেখিলাম, ইনি আমাদের প্রফুল্লচন্দ্রের হিন্দুরাসায়ন গ্ৰন্থও কিনিয়াছেন। রুশ ভাষা ও সাহিত্য সম্বন্ধে কিছু কথাবাৰ্ত্ত হইল। ইনি বুলিলেন, “রুশিয়ায় সকল দিকেই বড় দ্রুত পরিবর্তন হইতেছে। সমাজ, রাষ্ট্র, শিল্প, সাহিত্য প্ৰতি দশবৎসরেই অত্যধিক বদলাইয়া যাইতেছে।” আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, “পিটার দি গ্রেটের আমলের সাহিত্য-বীরগণ কি এখন আপনাদের পাঠক-সমাজে আদৃত হন না ?” ইনি বলিলেন, “তঁহাদের ভাষা আজকাল বুঝা কঠিন।” আলোচনায় বুঝাগেল, বঙ্গ ভাষা ও সাহিত্যে বঙ্কিমচন্দ্রের পূর্ববৰ্ত্তী গ্ৰন্থকারগণের আজকাল যে অবস্থা, পঞ্চাশ বৎসরের পূর্ববৰ্ত্তী রুশ সাহিত্যসেবিগণেরও আধুনিক রুশিয়ায় সেই অবস্থা । কেবল লমনসাফ কেন, কারমসিন (১৭৬৬-১৮২৬) এবং জুকাবুস্কি (১৭৮৩-১৮৫২ ) ইত্যাদি প্ৰসিদ্ধ সাহিত্যধীরগণের রচনা এক্ষণে রুশিয়ায় কেহ পাঠ করিতে চাহে না ।