পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কবরের দেশে দিন পনর-মুসলমানের কাইরো s দ্বারা রচিত । দুই এক স্থলে সরু পাথরের সূত্রের দ্বারা দেওয়ালের উপর জালের চিকু লিখিত হইয়াছে । কবর হইতে আমরা পাগলা-গারদের দিকে গেলাম। গারদের কোন অংশই বৰ্ত্তমান নাই । কেবল প্ৰশস্ত পথটা মাত্র রহিয়াছেইহার মেজে বঁাধান এবং ছাদও খিলানযুক্ত। এই পথকে গ্রীষ্মের সময়ে দিবাভাগে শয়ন-গৃহরূপে ব্যবহার করা হইত। পাগলা-গারদের এই প্ৰশস্ত পথে প্ৰবেশ করিবার সময়ে একটা প্ৰস্তর নিৰ্ম্মিত জালের দিকে গাইড আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করিলেন। সেই জালের মধ্যে আরবী অক্ষর কৌশলের সহিত লিখিত হইয়াছে। তিনি পড়িয়া দিলেন “SAN” কলাবনের মসজিদ ত্ৰিয়োদশ শতাব্দীর শেষভাগে নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল । ইহা এক্ষণে অন্যান্য মসজিদের ন্যায় ওয়াকুফ সম্পত্তির নিয়মে রক্ষিত হইতেছে। মিশর রাষ্ট্রে ওয়াক্ফ বিভাগের কাৰ্য্যাবলীর জন্য স্বতন্ত্র মন্ত্রণাসভা আছে । . খেদিভ এই সভার নায়ক । কলাবন দেখিয়া দেশীয় বাজারের ভিতর দিয়া চলিলাম । ভারতের যুক্ত প্রদেশের পুরাতন সহরগুলির প্রায় অনুরূপ । বাজার, দোকান, গলি, জিনিষপত্র, শাকশৰ্জী সবই প্ৰায় ভারতবর্ষের মত। তরকারী ও আমাদের পরিচিত । দোকানীরা বড় বড় ফরাশীর নলের সাহায্যে গুড়গুড়ি হইতে তামাকু সেবন করিতেছে । এখানে পান জন্মে না, কাহাকেও পান খাইতে দেখিলাম না । এখানকার লোকেরা মাথায় বা १g Cडव भicथ न । বাজারের ভিতর দিয়া যাইতে যাইতে নগরের একটা পুরাতন প্রাচীর দেখিতে পাইলাম--তাহার একটা ফটকও পার হইতে হইল । প্ৰাচীন কালে ভারতের সর্বত্রই নগরের চারিদিকে প্ৰাচীর থাকিত। কাইরো