পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় দিবস—মুসলমানের কইরো আজ মিশরবাসীদিগের এক জাতীয় উৎসবের দিন। খৃষ্টান মুসলমান সকলে মিলিয়া আজি আনন্দে মগ্ন । মিশর রাষ্ট্রের সর্বত্র ছুটি । দোকানবাজার সবই বন্ধ। সকল শ্রেণীর লোকই উৎসবে যোগদান করিতে প্ৰবৃত্ত । উৎসবের নাম ‘সিম্মানেসিমা” বা বায়ুর ভ্রাণ গ্ৰহণ । বাগানে মাঠে গাছতলায় দলে দলে লোক সমবেত হইতেছে। অনাবদ্ধ প্ৰকৃতির মুক্ত বাতাসের সংস্পর্শে আসিবার জন্য জনগণ নানাপ্রকার বেশ ভূষায় সজ্জিত হইয়। ঘরবাড়ীর বাহিরে বেড়াইতেছে। ভারতের বসন্তোৎসব, হোলী ইত্যাদির সঙ্গে বোধ হয় এই উৎসব একশ্রেণীভুক্ত। উদার আকাশের তলে খোলা মাঠের বায়ুসেবন করাই উৎসবের প্রধান অঙ্গ । ইহার সঙ্গে ধৰ্ম্মের, দেবদেবীর পূজা অৰ্চনার কোন সংশ্ৰব নাই । শিল্প, ব্যবসায় বা ধনসম্পত্তি সম্পর্কিত কোন হাট বাজার বা সম্মিলনও কোথাও দেখিতেছি না। বরং দোকানী বাজারী সকলেই ব্যবসায় বন্ধ রাখিয়াছে। কোনরূপ রাষ্ট্ৰীয় ঘটনা বা সংগ্রামে জয়পরাজয়-ঘটিত অনুষ্ঠানেরও প্রভাব লক্ষ্য করা গেল না। বৎসরের মধ্যে একদিন মিশরবাসীরা প্ৰকৃতির সঙ্গে এক হইয়া মিশিবার জন্য উদগ্ৰাব ; এজন্য মন খুলিয়া পাখীর মত স্বাধীনভাবে বিচরণ করিতে ইচ্ছা করে। এই স্বাধীনতার ইচ্ছাই, এই প্ৰকৃতির সহবাসের আকাজক্ষাই মিশরের এই সাৰ্ব্বজনীন উৎসবের মূল কারণ বিবেচনা করা যাইতে sts