পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/১১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কবরের দেশে দিন পানীর-মুসলমানের কাইরো SS দখিলাম কতকগুলি আলমারীর সারি রহিয়াছে। উহার মধ্যে ছাত্রের। তাহাদের ব্যবহাৰ্য্য পুস্তকাদি রাখিয়া থাকে । এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বহির্ভাগে সমীপবৰ্ত্তী স্থানে অসংখ্য গ্রন্থালয় দেখিয়াছি। মোটের উপর এই স্থানকে মুসলমান সভ্যতার প্রধানতম কেন্দ্ৰ বলিয়া মনে হইল । অবশ্য নব্য-পাশ্চাত্য-আলোক-প্ৰাপ্ত মিশরীয়েরা আজকাল এই বিদ্যালয়েব বিরুদ্ধে দাড়াইতেছেন । তাহারা মনে করেন। এখানে শিক্ষালাভ কিছুই হয় না । তাহার। এই সব ভাঙ্গিয়া চুরিয়া নূতন ধরণের বিদ্যালয়াদি গড়িতে চাহেন। অথচ স্বাধীনভাবে নব নব শিক্ষা প্ৰণালী প্ৰবৰ্ত্তনের ক্ষমতা ও যোগ্যতা ই তাদের নাই । এত গুলি বিভিন্ন জাতীয় যুবক ও প্রৌঢ় মুসলমান একস্থানে দেখিয়া ভাবিলাম—মুসলমানের নিতান্তই শান্তিপ্ৰিয় । ইহা দিগকে উগ্ৰস্বভাব, তীব্ৰ প্ৰকৃতি, ভয়াবহ জাতিরূপে বর্ণনা করা উচিত নয়। ভিন্ন ভিন্ন জাতির চেহারার পার্থক্য অবশ্য লক্ষ্য করিলাম। কিন্তু সকল মুসলমানের মধ্যে একটা কমনীয় ভাব-একটা কোমলতা, সৌজন্য ও নম্রতা দেখিতে পাইলাম। এমন কি যাহাদের শারীরিক গঠন খুব লম্বা চৌড়া শক্ত ও পালোয়ানো চিত, তাহাদিগকেও শান্ত শিষ্ট বোধ হইল । আর মিশরের ভিতর দোকানে হোটেলে হাটে বাজারে যত লোক দেখিয়াছি তাহাদের কাহাকেও প্ৰচণ্ড প্ৰকৃতিব ভাবিতে পারি নাই । ইহাদের সর্ব অঙ্গে, চোখে, মুখশ্ৰীতে বেশ শান্তিপ্রিয়তা বিরাজ করিতেছে। এই বিশ্ববিদ্যালয় দেখা হইয়া গেলে আজ আবার দুৰ্গে প্ৰবেশ করিলাম। তাহার পশ্চিম কোণ হইতে সমগ্র কইরে-নগরের দৃশ্য দেখা যায়। সেখানে দাড়াইয়া উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত৷ নগরীর অট্টালিকা, প্ৰাসাদ, মসজিদ, মিনার, গম্বুজ ইত্যাদি দেখিতে পাইলাম। এই নগরের পশ্চিমে নাইল নদের উজ্জল জলরাশি-তাহার পশ্চাতে আপারকুলে