পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

68 दéभन्न स्त्र १९ গুলি যেরূপ দেখায়, কাইরোদুর্গের এই স্থানে দাড়াইয়া সেইরূপ দেখাইতে লাগিল। সত্য সত্যই এদেশ “স্মৃতি দিয়ে ঘেরা ।” ভগ্ন অট্টালিকার স্তুপ, প্ৰাচীন মন্দিরাদির চিহ্ন, অজর অমর শিল্প কাৰ্য্য, পুরাতন মসজিদ প্রাসাদ, এই সমুদয়ের দৃশ্য অতীতের কথা স্মরণ করাইয়া দেয়। এই প্ৰাচীন স্মৃতিচিহ্নের মধ্যে নূতন নূতন ঐশ্বৰ্য্য ও কারুকাৰ্য্যের পরিচয়স্বরূপ অট্টালিকাসমূহ সতেজে দণ্ডায়মান । কিন্তু এই সমুদয় যে কোন “স্বপ্ন দিয়ে তৈরী” তাহা এখনও বুঝা যাইতেছে না। আধুনিক মিশরীয়দিগের কোন স্বপ্ন বা আশা আছে কি ? দুর্গের মধ্যে এক স্থানে একটা সুগভীর কুপ আছে। প্ৰবাদ এখানে জোসেফ নামধারী এক ব্যক্তি নির্বাসিত হইয়া বাস করিয়াছিলেন। র্তাহার কাহিনী কোরানে, বাইবেলে এবং ফ্যাশী কবি জামি প্ৰণীত “ইউসুফ-জুলেখা” নামক কাব্য গ্রন্থে বিবৃত আছে। এই কুপের নিম্নে যাওয়া যায়। কুতুবমিনারে যেমন নিম্নভাগ হইতে শিরোভাগে উঠা যায়, এই কুপেও সেইরূপ উপরিভাগ হইতে নিম্নতম স্থানে জলের নিকট যাওয়া যায়। কুপের পথ মিনারের ন্যায় গোলাকার। আমরা অৰ্দ্ধ ভাগ পৰ্য্যন্ত নামিলাম। দেখা গেল—প্ৰকাণ্ড প্রস্তরপ্রাচীরে নিৰ্ম্মিত চতুষ্কোণ গহবর, প্ৰত্যেক দিক প্ৰায় ১২ ফুট বিস্তৃত। কুপ প্ৰায় ৪০০ ফুট গভীর। বহু নীচে জল । গাইড বলিলেন-উঠা নাইল নদের জলের সঙ্গে সংযুক্ত । এই অন্ধকারময় পথের ভিতর দিয়া যাইতে যাইতে জোসেফের কাহিনী শুনা গেল । তঁহাকে এখানে সাত বৎসর বাস করিতে হইয়াছিল। মিশরের রাজা একটা দুঃস্বপ্ন দেখিয়াছিলেন । এ দিকে দেশময় দুর্ভিক্ষের প্রকোপ আরম্ভ হইল। একব্যক্তি রাজাকে খবর দিল— একজন সাধু স্বপ্নের ব্যাখ্যা করিতে পারেন। জোসেফকে মুক্তিদান করা হইল। পরে তিনি মিশরের খেদিভপদে নিযুক্ত হন ।