পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/১২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ দিবস—জগতের সর্বপুরাতন রাষ্টকেন্দ্ৰ কাইরে হইতে লুকাসর যাত্ৰা করিলাম । কাইরোর নিকটেই রেলওয়ে-পুলে নাইল পার হইতে হয়। গাড়ী হইতে দেখিলাম, নদী গ্রীষ্মকালের যমুনা অপেক্ষা প্ৰশস্ত নয়। জল বেশ ফরসা । নীলনাইলঅংশ। কত নীল বা কাল তাহা এখান হইতে ধারণা করা গেল না । গাড়ী এক্ষণে কাইরোর অপর পার অর্থাৎ নাইলের পশ্চিম কিনারা দিয়া যাইতে লাগিল। আমাদের পূর্বে আরবের মকাওম শৈলশ্রেণী, পশ্চিমে আফ্রিকার লীবিয়া পাহাড়-মধ্যবৰ্ত্তী স্থানে দুই দিকে শস্যশ্যামল উর্বর ভূমি এবং নাইলনদ-সকলই উত্তর দক্ষিণে সমান্তরালভাবে বিস্তৃত । আমাদের রেলপথও এই সকলের সঙ্গে সমান্তরালরূপে নিৰ্ম্মিত । গাড়ীতে বসিয়া সমস্ত মিশরের প্রাকৃতিক শোভা এবং পুর্বপশ্চিমের বিস্তৃতি এক দৃষ্টিতে দেখিতে লাগিলাম। পূর্বদিকের পর্বত ভারতবর্ষের পশ্চিমঘাটের মত উচ্চ ও সমতলভূমি যুক্ত দেখাইতেছে। উদ্ভিদশূন্য, ঈষৎ রক্তবর্ণ, বালুকা প্ৰস্তরময় মকাওম শৈল দেখিতে দেখিতে বিন্ধ্য ও সহাদ্রি পর্বতের টেবলল্যাণ্ডের কথা মনে পড়িল । পশ্চিমদিকে কোন নগর বা পল্লী চোখে পড়িতেছে না । কেবল কৃষিক্ষেত্র। “ফেলা’-নামক মিশরীয় কৃষক, কৃষ্ণ বা নীলবৰ্ণ “গালাবিয়া’ পরিয়া জমি চাষিতেছে। অদূরে গীজ পলীর তিনটী