পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/১৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

У a o द3भान ख5ोंs নগর দেখিবার জন্যই কাইরে হইতে ৪০০ মাইল দক্ষিণে যাত্ৰা করিয়াছি । সেই জনপদের আধুনিক নাম লুকুসর। কিন্তু থীবৃসের অভু্যদয়যুগেও মেমফিসের প্রভাব নিতান্ত মলিন হয় নাই । থীবৃসের নরপতিগণ মেমফিসেও স্বীয় কীৰ্ত্তিস্তম্ভ রাখিয়া যাইতে চেষ্টত হইতেন। পারশ্য্য-সম্রাট ক্যাম্বাইসিস খৃষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীতে মেমফিসনগর দখল করিয়াই মিশরে রাজ্য বিস্তার করেন। পরে গ্রীক ও রোমানদিগের আমলেও মেমফিসের গৌরব লুপ্ত হয় নাই। এমন কি মুসলমানেরা যখন সপ্তম শতাব্দীতে মিশর জয় করেন তখন মেমফিসের প্রাসাদ, মন্দির ইত্যাদি সবই বৰ্ত্তমান ছিল । তাহারা এই নগর পরিত্যাগ করিয়া কিঞ্চিৎ উত্তরে ব্যাবিলনের নিকটে নূতন নগর আরম্ভ করেন। এই নগর নিৰ্ম্মাণের জন্য তাহারা প্ৰাচীন মেমফিস হইতে স্তম্ভ, প্রস্তর, ইত্যাদি লইয়া আসিতেন। এই উপায়েই খলিফা ওমারের মসজিদ নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল । খ্ৰীষ্টীয় দ্বাদশ শতাব্দীতে আবদুল লতিফের সময়েও মেমফিসের ধ্বংসাবশেষ কথঞ্চিৎ বৰ্ত্তমান ছিল । তাহার পর হইতে সবই লুপ্ত হইয়াছে। এক্ষণে কেবলমাত্ৰ সাক্কার ও আবুসিরের পিরামিডু এবং অন্যান্য কলরের স্থান বৰ্ত্তমান । অন্যান্য কবরের মধ্যে মেমফিস নগরের অধিষ্ঠাতৃদেবী “তা” ( Ptah) এবং তঁাহার বাহন বুষের কবরাদি দেখিতে পাওয়া যায় । মেমফিসের গৌরবযুগে তা-দেব সমগ্ৰ মিশরে পূজা পাইতেন। পরে খীবসের অভু্যুদয়কালে সেই জনপদের দেবতা য়্যামনের প্রতিপত্তি তা-দেবের ক্ষমতা লুপ্ত করিয়াছিল। কিন্তু দুই নগরের দেবতত্ত্ব এবং ধৰ্ম্মতত্ত্বই হেলিয়োপোলিসের সূৰ্য্যদেব, সুৰ্য্যমন্দির, এবং তাহার পুজারী অধ্যাপকগণের প্রভাব অতিক্রম করিতে পারে নাই। কি তা-দেব, কি ধীবাসের য়্যামন-দেব উভয়ই সূৰ্য্যদেবের ক্ষমতার দ্বারা পরিচালিত হইতেন । হেলিয়োপোলিস প্ৰাচীন মিশরের ধৰ্ম্মকেন্দ্ৰ ও শিক্ষাকেন্দ্র ছিল। এই সূৰ্য্যনগরের পুরোহিত ও