পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/১৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কবরের দেশে দিন পনর-জগতের সর্বপুরাতন রাষ্ট্ৰকেন্দ্ৰ ১০১ অধ্যাপকগণ চিরকালই মিশরবাসীর শ্রদ্ধা ও ভক্তি পাইয়া আসিয়াছেন। মেমফিস এবং থৗবসের প্রবল-প্ৰতাপ নরপতিগণও ইহঁদের প্রভাব পূরাপূরি অতিক্ৰম করিয়া স্বীয় জনপদের ধৰ্ম্ম তত্ত্ব প্রতিষ্ঠিত করিতে পারেন নাই । তাহাদিগকে সুৰ্য্যপূজা-তত্ত্বের অনেক কথা তা-তত্ত্বের এবং য়্যােমন-তত্ত্বের সঙ্গে মিলাইয়া লইতে হইয়াছিল। সূৰ্য্যপূজক অধ্যাপকগণও এঠ-সকল রাজবংশের উপর অসামান্য ক্ষমতা বিস্তার করিতেন। পৃথিবীর এই সর্বপুরাতন রাজধানীর ধ্বংসাবশেষ স্বচক্ষে দেখিবার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু মিশরে আমাদের দুই সপ্তাহমাত্র আয়ু। কাজেই মেমফিসের কাহিনী গাইডের মুখে ও পুস্তকের সাহায্যে জানিয়া লইলাম। এখানকার মন্দির ও কী বরগাত্ৰে নানা প্ৰকার চিত্ৰ আছে । ভারতবর্ষের বৌদ্ধ-বিহার-চৈত্য-স্তপসমূহে যেরূপ দৃশ্য ও অভিনয় দেখা যায়, এখানকার মস্তাব ও রাজ • বরাদিতে সেইরূপ প্ৰাচীর-চিত্র রহিয়াছে। এইগুলি দেখিয়া প্ৰাচীন মিশরের কৃষি, শিল্প, বাণিজ্য, সমাজ, ধৰ্ম্ম, শিক্ষা, রাষ্ট্রশাসন ইত্যাদি সকল বিষয়ই অবগত হওয়া যায় । ভারহুত ও সাচি তাপগাত্রে খোদিত চিত্রের সাহায্যে বৌদ্ধ-ভারতের সকল বৃত্তান্তই আমরা स्त्रनिड १ांद्रि । সাক্কারায় প্ৰাচীন রাজকৰ্ম্মচারী বা জমিদারগণের কয়েকটা কবর আবিষ্কৃত হইয়াছে। সেইগুলিকে “মস্তাবা” বলে। এই মস্তাবার গাত্রে যে সমুদয় কাহিনী চিত্রিত রহিয়াছে তাহার কয়েকটা নিয়ে বিবৃত হইতেছে। কোন স্থানে একটি জাহাজ সমুদ্র বাহিয়া যাইতেছে। কোথায় ওবা মিশর-রমণীরা শস্য ঝাড়িতেছে। কোন চিত্রে প্রাচীনকালের শস্যারোপণ ও শস্যকৰ্ত্তনপ্রণালী দেখিতে পাই । এক এক অংশে দেখা যায় বহু সুত্ৰধর সমবেত হইয়া কাঠ চিরিতেছে, এবং জাহাজ তৈয়ারী করিতেছে। চিত্রগুলি জীবন্ত বোধ হয়, যেন আমাদের সম্মুখে বসিয়া,