পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

So R दéभान्म स्त्री९ কারিগরেরা হাতিয়ার চালাইতেছে। কোন স্থলে রাষ্ট্রশাসনের এক চিত্র দেখিতে পাই, সাক্ষ্য দিবার জন্য পল্লীর প্রবীণ ব্যক্তিরা বিচারালয়ে আসিয়াছে । কোথায়ওবা আফিসের কৰ্ম্মচারী ও কেরাণীরা বসিয়া খতাপত্ৰ লিখিতেছে। কোন চিত্রে গোশালা, গোদোহন, লাঙ্গল-চালান, গোচারণ, মাছধরা, ইত্যাদি দেখা যায়। কোথাও অনেক গাভীর দলকে নদী পার করান হইতেছে। কৃষকপত্নীরা মাথায় করিয়া নানাবিধ দ্ৰব্যসম্ভার লইয়া যাইতেছে—এরূপ চিত্ৰও বিরল নয়। মাথার চুপড়িীগুলি দেখিয়া বুঝা যায় মাছমাংস, শাকশাজী, ফলমূল, পাখী, পানীয় ইত্যাদি বহু প্ৰকার খাদ্যদ্রব্য দেবতার জন্য আনীত হইতেছে। রাস্তায় বাহকদিগের সারি দেখিয়া আধুনিক কলিকাতায় “বিবাহের তত্ত্ব” পাঠাইবার দৃশ্য মনে আসে । এই-সকল চিত্ৰ দেখিলে মনে হয়-৫ • • • ॥৬০০০ বৎসর পূর্বেও মানবজাতি তাহার আধুনিক বংশধরগণের ন্যায়ই ছিল, তাহাদের জীবন-যাত্রায় আর আজকালকার জীবন-যাত্রায় বড় বেশী প্ৰভেদ নাই । খাওয়া দাওয়া, চলাফের, লেনদেন, সকল বিষয়েই প্ৰাচীন মিশরবাসীরা আধুনিক লোকসমাজের সঙ্গে একশ্রেণীভুক্ত। ভারতবর্ষের আধুনিক ও প্ৰাচীন গোচারণ, কৃষিকৰ্ম্ম, পশুপালন, রাষ্ট্রকাৰ্য্যপরিচালন, ইত্যাদি অনেক অনুষ্ঠানেই প্ৰাচীন মিশরের জীবনযাত্ৰ-প্ৰণালী দেখিতে পাই । মিশরে ও হিন্দুস্থানে একই আদর্শের চরিত্রগঠন, একই ছাচের সমাজগঠন, একই ধরণের জীবন-গঠন হইয়াছিল কি ? হিন্দু ও মিশরীয়েরা কি একই নিয়মে বিশ্বে বসতি করিয়াছিল ? এই-সকল প্রশ্নের আলোচনা qथन७ श्घ्र नाझे । মেমফিসের ধ্বংসাবশেষগুলি ছাড়াইয়া নাইলকে বামে রাখিয়া সোজা দক্ষিণে চলিলাম। সম্মুখে ও উভয় পাশ্বে যত দূর দেখা যায় সেই এক দৃশ্যই দেখিতেছি। সেই লীবিয়া ও মকাওমের শৈলশ্রেণী,