পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/১৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কবরের দেশে দিন পনর-জগতের সর্বপুরাতন রাষ্ট্ৰকেন্দ্ৰ ১০৩ সেই তাল ও খেজুর বৃক্ষের সারি, সেই তুলা গোধূম শৰ্জীর কৃষিভূমি, সেই নাইলনদ ও সেই নাইলনদের খালসমূহ। মধ্যে মধ্যে নগর ও পল্পী । তাহাও সেই এক ছাচে গড় । চতুষ্কোণ, বারান্দাহীন, হাওয়াহীন, মসজিদতুল্য অট্টালিকা চালার ঘর বা টালির ঘর একখানাও দেখি নানগরের গৃহসমূহত সবই প্ৰস্তর নিৰ্ম্মিত বোধ হয়-পল্লীর গৃহগুলি রৌদ্রেশুকান নাইল-মৃত্তিকার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্ৰ ইষ্টকে গঠিত । মিশরের উত্তর হইতে দক্ষিণসীমা পৰ্য্যন্ত এই এক দৃশ্য, এক প্ৰকৃতি, এক বাড়ীঘর, এক চাষ আবাদ । কোথাও কোন বৈচিত্ৰ্য বা বিভিন্নতা নাই । একটি পল্লী দেখিলেই সকল পল্লী দেখা হইল, একটি নগর দেখিলেই সকল নগর দেখা হয়। কোন একস্থানের প্রাকৃতিক অবস্থা বুঝিলেই সমস্ত মিশরদেশের জলবায়ু, মাঠঘাট, বুঝা হইয়া যায়। মিশরের বাহ প্ৰকৃতি নিতান্তই একটানা একঘেয়ে । কেবল কি বাহ প্ৰকৃতিই বৈচিত্র্যহীন ? তাহা নহে। মিশরের যেদিকে তাকাই সেই-দিকেই একঘেয়ে একটানা বৈচিত্র্যহীনতার পরিাচায়। আধুনিক মিশরীয় জীবনের কথাই ধরা যাউক । সর্বত্রই দেখিতে পাইব-গ্ৰীক, ইতালীয়, ফরাসী, জাৰ্ম্মাণ, আমেরিকান, ইংরাজ, আৰ্ম্মিনিয়ান, ইহুদী ইত্যাদি অসংখ্য বিদেশীয় জাতি নিজ নিজ স্বাৰ্থসিদ্ধি করিবার জন্য যত্নবান। মিশরের মুসলমান সর্বত্রই হতপ্ৰভ ও ‘ হীনবীৰ্য্য। মুসলমান-সমাজের উপরে পাশ্চাত্য ও বিদেশীয় সমাজের একটা স্তর বেশ শক্ত ও দৃঢ়ভাবে বসিয়া গিয়াছে। এই পাশ্চাত্য স্তরবিন্যাস। কৃষিতে দেখিতে পাই, শিল্পে দেখিতে পাই, বাণিজ্যে দেখিতে পাই, শিক্ষায় দেখিতে পাই । কোথায়ও যেন মিশরবাসীর স্বদেশী জীবন নাই ; বাড়ীঘর, আদিবাকায়দা, লেখাপড়া, ব্যাঙ্ক, কৃষি, চিনির । কল, ময়দার কল, স্কুলকলেজ, সংবাদপত্র, রাষ্ট্র-পরিা