পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম দিবস—য়্যামন-দেবের নগর, কাণাক আমাদের হোটেল লুকাসরের মন্দিরের ঠিক দক্ষিণে। আমরা প্ৰথমেই কাৰ্ণাক দেখিতে গেলাম। হোটেল হইতে নদীর ধারে সোজা উত্তর দিকে যাইতে হইল। পূর্বে লুকাসরের মন্দির হইতে কাৰ্ণাকের মন্দির। পৰ্য্যন্ত দুইসারি স্ফিঙ্কস প্রতিষ্ঠিত ছিল। এক্ষণে কেবলমাত্র তাহাদের চিহ্ন বৰ্ত্তমান আছে । আমরা “খানসা’ বা চন্দ্ৰদেবের মন্দিরে উপস্থিত হইলাম। সম্মুখেই “পাইলন” বা ফটক । ফটিক টলেমির নিৰ্ম্মিত । হেলিয়োপোলিসের ওবেলিস্কের ন্যায়। ইহা উচ্চ-দেখিতেও ইহা সেইরূপ । নিম্নে প্রশস্ত, শিরোভাগ সঙ্কীর্ণতর। ফটকের দুইপাশ্ব হয়েবোগ্লিফিক লিপিদ্বারা উৎকীর্ণ। গাত্রে টলেমির চিত্ৰ ! নানা খীবস দেবতার নিকট প্রার্থনা করিতেছেন । দক্ষিণ ও উত্তর উভয়দিকেই একপ্রকার শিল্প ও চিত্ৰ । উত্তরে ও দক্ষিণে ফটকের উপরিভাগে পক্ষযুক্ত সূৰ্য্যমূৰ্ত্তি। এই ফটকে । টলেমি তাহার স্বদেশীয় গ্রীকো-রোমান পোষাকে ভূষিত । এই ফটক হইতে ধ্বংসপ্ৰাপ্ত স্ফিঙ্কসের গলির ভিতর দিয়া প্ৰাচীনতর মন্দিরে প্রবেশ করিতে হয়। এই মন্দির উত্তরে দক্ষিণে অবস্থিত । দক্ষিণদিকে প্রবেশদ্বার। এই দ্বারের গাত্রে সম্রাট রামসেস নানাভাবে চিত্রিত। “রা’ এবং অন্যান্য মিশরীয় দেবগণের উদ্দেশ্যে তিনি লতাপাতা, পদ্ম, এবং অন্যান্য উপহারীন্দ্ৰব্য প্ৰদান করিতেছেন ।