পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/১৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কবরের দেশে দিন পনর- য়্যামন-দেবের নগর, কাৰ্ণাক ১০৯ মন্দির-নিৰ্ম্মাণকৌশলে কিছু কিছু হিন্দু দেবালয় নিৰ্ম্মাণের রীতি মনে পড়ে । ফটক, প্ৰাঙ্গণ, স্তম্ভ, ভোগমন্দির, পার্শ্বগৃহ, প্ৰধানমন্দিরইত্যাদি ভারতীয় মন্দিরের নানা অঙ্গ । জগন্নাথের মন্দির, কালীঘাটের মন্দিব, কামাখ্যার মন্দির, বিশ্বেশ্বরের মন্দির ইত্যাদির সঙ্গে কোন কোন বিষয়ে প্রাচীন ধীবাসের দেবমন্দিরসমূহের তুলনা করা চলে ; মন্দিরের শেষভাগে আসিয়া উপস্থিত হইলাম। এখানে একটা দরজা ছিল । ইহার ভিতর দিয়া নিকটবৰ্ত্তী য়্যামনদেবের মন্দিরে যাওয়া যাইতে । এই দরজার সম্মুখে দাড়াইয়া উত্তর হইতে দক্ষিণদিকে তাকাইয়া দেখিলাম। ‘খান’স” মন্দিরের ভিতরকার অংশ সমস্ত একেবারে দেখা গেল । বিরাট স্তম্ভসমূহই ইহার বিশেষত্ব, এবং সর্বসমেত পাচটি ভিন্ন ভিন্ন গৃহ বা প্ৰাঙ্গণের সমবায়ে মন্দির রচিত । ভিতরকার গৃহে অৰ্থাৎ প্ৰধান মন্দিরে কোন স্তম্ভ নাই-ইহা চতুষ্কোণ । ইহার চারিদিক সমান । দুই পাশ্বে বারান্দার ন্যায় পার্শ্বগৃহ আছে । ভিতরকার পথ অন্যান্য গৃহের ভিতরকার সমান বিস্তৃত। এই গুহের কোন স্থানে দেবতার পীঠ ছিল বুঝা যায় না । কোন কোন প্রাচীরে ও স্তম্ভে দেখিলাম গ্রানাইট প্রস্তরের কার্য্য । প্ৰাচীন মিশরবাসীরা আসোয়ান পৰ্ব্বত হইতে এই পাথর আনাইত । প্ৰধান মন্দিরের সংলগ্ন দক্ষিণ-গৃহে যে চারিটা স্তম্ভ দুইপাশ্বে দেখা যায় তাহার গঠনকৌশল কিছু নূতন । স্তম্ভের পাদদেশ পদ্মফুলের পাপড়িযুক্ত এবং শিরোদেশ পুষ্পের সর্বোপরিস্থ আবরণের আকৃতিदिधििष्ठे । চন্দ্ৰমন্দির দেখিয়া জগদ্বিখ্যাত য়্যামন-মন্দিরে গেলাম। এই মন্দির নাইলের পূর্বকিনারায় অবস্থিত, নদী হইতে উঠিয়াছে বলা যায়। পশ্চিম হইতে পূর্বদিকে ইহার বিস্তৃতি। নাইল হইতে উঠিবার পথে প্ৰথমেই