পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/১৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS O বৰ্ত্তমান জগৎ তুই সারি স্ফিঙ্কস দেখিতে পাওয়া যায় । প্ৰত্যেক সারিতে ২০টা করিয়া প্ৰস্তরনিৰ্ম্মিত মেষ উচ্চ প্ৰস্তরমঞ্চের উপর উপবিষ্ট । এগুলি এখনও নষ্ট হয় নাই, পূৰ্ব্বেকার মতই সজীব সতেজ আছে। এই স্ফিঙ্কস শ্রেণীদ্বয়ের শেষসীমার নিকটে খানিকটা বঁধান প্ৰাঙ্গণ । তাহার পাদদেশে ভূমিগৰ্ভস্থ সুড়ঙ্গ। এই সুড়ঙ্গ দিয়া নাইলের জল মন্দিরের চরণতলে ধৌত করিত । এই স্থান হইতে পশ্চিম নাইলের দিকে পৃষ্ঠ রাখিয়া পূর্বদিকে মুখ করিয়া সমস্ত মন্দিরের বিস্তৃতি ও আয়তন দেখিয়া লইলাম। সম্মুখেই অতু্যচ্চ ফটক বা “পাইলন।” মাদুরার এবং দক্ষিণভারতের “গোপুরম" গুলির ন্যায় এই পাইলনের গাম্ভীৰ্য্য ও উচ্চত। চিত্তে অভিনব জগতের বাৰ্ত্তা আনিয়া দেয় । হেলিয়োপোলিসের ‘ওবেলিস্ক এবং চন্দ্ৰমন্দিরের ফটক চ তার তুলনায় বামন মাত্র । কি স্থূলতা, কি বিশালতা, কি দৃঢ়তা, কি উচ্চতা, সকল বিষয়েই য়্যামনদেবমন্দিরের ফটক হৃদয়কে বিস্ময়াপ্লাত করে । ধীরে ধীরে স্ফিঙ্কসের সারির মধ্যকার গলির ভিতর দিয়া ফটকের নিম্নে আসিলাম । তাহার পর উন্মুক্ত বিশাল প্ৰাঙ্গণে পদার্পণ করিলাম। প্ৰাঙ্গণের সম্মুখে, পার্শ্বে, সর্বত্র বিরাট ও বিপুল স্থাপত্য এবং বাস্তুবিদ্যার নিদর্শন। নানা স্তম্ভে প্রাঙ্গণ পরিপূর্ণ। প্ৰত্যেকটাই এক একটা মিনার ওবেলিস্ক বা শিখরের তুল্য গরীয়ান। প্ৰাঙ্গণের ভিতর দিয়া উত্তর দিকের দরজার নিম্নে আসিলাম। উদ্ধে তাকাইয়া দেখি প্ৰকাণ্ড প্ৰস্তরখণ্ডে দরজার ছাদ নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। কোন খিলান বা কাষ্ঠাশ্ৰয় নাই । ২০ ফুট আন্দাজ বিস্তৃত দরজা একখণ্ড শিলার দ্বারা আবৃত রহিয়াছে। এই দরজা দিয়া মন্দিরের উপরে উঠিলাম। সেখান হইতে মন্দিরের যে দৃশ্য দেখা গেল জগতে আর কোথাও তাহা দেখা যাইবে কি না সন্দেহ। সর্বত্র অসীম অনন্ত শিল্পকাৰ্য্যের সাক্ষ্যস্বরূপ অসংখ্য বস্তু পড়িয়া রহিয়াছে। সুদূরবিস্তৃত ক্ষেত্রের মধ্যে মানবসভ্যতার