পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মিশরের পথে-বিদেশ যাত্রার সরঞ্জাম লাইতে পারিতেন । আমাদের ব্যারিষ্টার বন্ধুটি বলিলেন, তিনি ১৫ বৎসর পূর্বে প্ৰথম বিলাতে যাইবার সময়ে স্বহস্তে রন্ধনাদির সরঞ্জাম লইয়া জাহাজে চড়িয়াছিলেন। তঁহার পিতার যথেষ্ট অর্থ ছিল—তথাপি তিনি। তাহার পুত্ৰকে ছাত্ৰোচিত কষ্টভোগের ভিতর দিয়া মানুষ করিতে{ চাহিয়াছিলেন। আজ এই পুত্ৰ নানা প্ৰকার অভিজ্ঞতার ফলে কষ্ট- } সঙ্গিষু পরিশ্রমী ও ব্যবসায়ী হইয়া দাড়াইয়াছেন । জাহাজে কাল রংএর একটা কোট, এবং যে কোন রংএর একটা পায়জামা থাকিলেই চলিয়া যায় । চারিটি: শার্ট, চরিট কলার এবং কয়েকটা রুমাল ও গেঞ্জি সঙ্গে থাকা আবশ্যক। " বিলাত পৰ্যন্ত পৌছতে আর বেশী কিছু লাগে না বুঝিতে পারা গেল। তবে পোষাকটা প্ৰথম হইতেই শীত কাটাইবার উপযুক্ত গরম থাকিলেই ভাল হা সু । কারণ ইউরোপে পৌছিবার পরীক্ষণ হইতে শীত লাগিতে থাকে । ডেকু-যাত্রীদের সঙ্গে দুইটা কম্বল ও একটা ছোট বালিশ দরকার । সুতরাং ছোট একটা বাক্সের ভিতর সমস্ত আসবাবই লওয়া যাইতে পারে। আর একটা হাণ্ডব্যাগের ভিতর তোয়ালে, সাবান, কামাইবার সরঞ্জাম ও দু একখানা বই লইলেই কাজ চলিয়া যায় । তারপর, ছাত্রেরা ধে দেশে যাইতেছে সেই খানে পৌছিয়া তথাকার ফ্যাশন মত পোষাক তৈয়ারী করিয়া লইতে পারে ।