পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কবরের দেশে দিন পনর-য়্যামন-দেবের নগর, কাৰ্ণাক ১১১ প্ৰাচীন নিদর্শনগুলি স্তপীকৃত ধ্বংসাকারে অথবা অৰ্দ্ধপূরিষ্কৃত অবস্থায় দেখা যাইতেছে। কোথাও ক্ষুদ্রতা, সঙ্কীর্ণতা, নীচতা, হীনতা, পঙ্গুত, দুৰ্বলতার চিহ্ন মাত্ৰ নাই। প্ৰবল রাষ্ট্রশক্তি, প্ৰবল ধনশক্তি, বিরাট অতুল ঐশ্বৰ্য্য, অগণিত শ্রমজীবীকুল, কৰ্ম্মকুশল স্থপতি ও ভাস্কর, ধৰ্ম্মভাবের ও ভক্তিতত্ত্বের পরা কাষ্ঠা—এই-সকল কথাই সেই উৰ্দ্ধস্থান হইতে কল্পনা ও ধারণা করিতে লাগিলাম। এখানে মিশরীয়দিগের সৌন্দৰ্য্যজ্ঞান এবং কলা-নৈপুণ্যের কথা চিন্তা করিবার অবসর ছিল না । তাহাদের বিপুল বিস্তৃত অধ্যবসায়, জগদ্ব্যাপী সাধনা এবং অসীম ক্রিয়াশক্তির পরিচয় পাইয়াই স্তম্ভিত হইয়া রহিলাম। মানব-শিল্পের এরূপ বিরাট কাণ্ড জগতের কোন এক স্থানে পুঞ্জীকৃত ভাবে আর কখনও দেখিতে পাইব কি ? প্ৰথমে পশ্চিম দিকে দৃষ্টিনিক্ষেপ করিলাম। দেখা গেল-নিমে স্ফিঙ্কসের সারি-গঠিত গলি এবং পুরাতন রোমীয় ইষ্টকের ধ্বংসাবশিষ্ট প্ৰাচীরের স্তুপ। তারপর খেজুর বুক্ষের কুঞ্জ এবং কৃষিভূমি। তাহার পাদদেশে নৌকা-শোভিত নাইল নদ। অপর পারে আবার চাষ আবাদশেষে আফ্রিকার লীবিয় পৰ্ব্বতের উচ্চ শৃঙ্গাবলী । উত্তর দিকে দেখিলাম-সম্মুখে পুরাতন মন্দির ও নগর বা পল্লীসমূহের ধ্বংসীভূত স্তপীকৃত ইষ্টক ও আবৰ্জনারাশি। প্রাচীন দেওয়ালের উপকরণসমূহও যথাস্থানে দাড়াইয়া প্ৰাচীরের ন্যায় দেখাইতেছে। কোন মন্দিরে প্রবেশ করিবার পথস্বরূপ একটি। ফটিক বা “পাইলন” । পরে অসংখ্য উদ্ভিদরাজি-খেজুর বৃক্ষের বন । পূর্বদিকে দেখা গেল-ভগ্নস্তুপ ও পুরাতন প্রাচীর, বৃক্ষরাজি এবং কৃষিক্ষেত্ৰ। বহুদূরে মকাওমি পর্বতের ধূসর প্রস্তর বালুকার ন্যায় ধুধু कब्रिgङgछ ।