পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/১৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কবরের দেশে দিন পনর-পৰ্বত-গুহায় মিশরীয় শিল্প ১১৯ যাওয়া হইতেছে। সঙ্গে সঙ্গে গাধা ঘোড়া গাড়ী কুলী ইত্যাদিও চলিয়াছে। আরও কতকগুলি নীেক নদীবক্ষে দেখা গেল। ७aशे-मभूलग्न ব্যবসায়-তরুণী । সকল নৌকায়ই দুইটি করিয়া মাস্তুল ও পাল। দেখিতে মন্দ নয়। আমাদের মাৰূিরা গান ধরিয়াছিল । গানের বিষয় মহম্মদের স্তুতি । গান শুনিতে শুনিতে পূর্বতীরের শোভা দেখিতে লাগিলাম। আমাদের প্ৰায় দুই মাইল দক্ষিণে নদী বাকিয়াছে। পূর্বদিকের মকাওম পাহাড়ে ঠেকিয়া নদীর গতি বাধা পাইয়াছে, এজন্য নদী কিছু পশ্চিমদিকে সরিয়া গিয়াছে। নৌকা হইতে দেখা গেল যেন পূর্বদিকের পাহাড নদীর সঙ্গে সমান্তরালভাবে অগ্রসর হইতে হইতে দক্ষিণদিকে আসিয়া। নাইলের পথ অবরুদ্ধ করিয়াছে । পাঁচ মিনিটের ভিতরেই নদীর অপর পারে পৌছিলাম। কেবল বালুকারাশি। ইহা মরুভূমির বালি নয়। বর্ষাকালে নদী বাড়িলে পশ্চিম কুল ছাপাইয়া উঠে। যতখানি পৰ্য্যন্ত জল যায় ততখানি পলি পড়ে। এই বালুর সঙ্গে সেই পলি মিশ্রিত। সুতরাং ইহা অতিশয় সূক্ষ্ম ও কথঞ্চিৎ কৃষ্ণবর্ণ। বালুকার উপর দিয়া আমাদের গাড়ী চলিতে লাগিল। যতখানি নদী, লালুকারাশির বিস্তৃতিও ততখানি। গ্রীষ্মকালে নদী প্ৰায় অৰ্দ্ধেক শুকাইয়া গিয়াছে । বাঙ্গালা দেশে নদীর ধারে পলিমাটির এবং বালির উপর যে সকল শস্য জন্মে নাইলনদীর ধারেও সেই সমুদায় দেখিলাম। তরমুজ, শসা, পেয়াজ, মটরশুটি, কুমড়া ইত্যাদি নানাপ্রকার শাকশাজীর চাষ হইতেছে। মেষ ও ছাগলের পাল চরিতেছে । গর্দভ ও } (Giびマーす| যাতায়াত করিতেছে । মধ্যে মধ্যে গোধূমক্ষেত্র ও.৫ জুরবন । এখানে ভূমির এত উর্বরতা শক্তি যে সামান্য চাষেই অতিঘনসন্নিবিষ্ট উদ্ভিদের উৎপত্তি হয়। চাষের অবস্থা দেখিয়া বোধ হইল নাইলের পলিমাটিতে