পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/১৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S R o বৰ্ত্তমান ऊं2९ বিঘায় প্ৰায় ২০, ২৫ মণ গোধূম উৎপন্ন হইয়া থাকে। পঞ্জাবের খালের সমীপবৰ্ত্তী জমি এবং যুক্তপ্রদেশের গঙ্গার কিনারা ব্যতীত এই পরিামান শস্য ভারতবর্ষের আর কোথাও বোধ হয় জন্মে না । বরাবর উত্তরদিকে চলিলাম। নাইলের একটা খাল রাস্তায় পড়িল । আখের ক্ষেতের ভিতর দিয়া একটা ছোট রেলপথও। দেখিতে পাইলাম । চিনির কলের জন্য এই রেল প্ৰস্তুত হইয়াছে । আমাদের রাস্তায় কুশের ঘাসও দেখা গেল । স্থানে স্থানে দেখিলামকুম্ভকারেরা বড় বড় মাটির ভাড় তৈয়ারী করিতেছে। কুপ হইতে জল তুলিবার জন্য পারস্যচক্রে এই-সকল ভাড় ব্যবহৃত হইয়া থাকে । ক্ষুদ্র ক্ষুদ্ৰ ইটের পাজা ও মাঠের মধ্যে দেখা গেল । পূর্বদিকে লীবিয় পাহাড়ের পাদদেশে পুরাতন অট্টালিকার বহু ংসাবশেষ গাড়ী হইতে দেখিতে পাইলাম। আমরা প্ৰথমেই এখানে নামিলাম না । পাহাড়ের ভিতরকার একটা নবনিৰ্ম্মিত রাস্তা দিয়া আমরা ইহার অপরদিকে যাইতে লাগিলাম। দুই পাশ্বে উচ্চ পৰ্ব্বতগাত্ৰ । সর্বত্ৰ শ্বেত অথবা ঈষৎ লাল লাইমষ্টোন পাথর। রাস্তা প্ৰস্তরময়। পাহাড়ের গায়ে একটি তৃণ ও জন্মে না । কোন স্থানে একটা ঝরণাও নাই ; চারিদিক বৌদ্রে পুড়িয়া যাইতেছে । আমরা একটা অগ্নিকুণ্ডের ভিতর দিয়া চলিতেছি বোধ হইল । নাইলের অপর পারে যেখানে কাৰ্ণাকে য়্যামন-মন্দির, আমরা পশ্চিম পারের ঠিক সেই স্থানে এই রৌদ্রতপ্ত পার্বত্য উপত্যকায় প্ৰবেশ করিয়াছি। বিন্ধ্যপর্বত বা দাক্ষিণাত্যের শৈলমালার ন্যায় এই পর্বতশ্রেণী । ২ আমরা পাহাড়ের ভিতর দিয়া দক্ষিণদিকে চলিতে লাগিলাম। চারিধারের প্রস্তর চুর্ণ ও পর্বতগাত্ৰ দেখিয়া মনে হইল ইহার কৰ্দমে অত্যুৎকৃষ্ট বাসন প্ৰস্তুত হইতে পারে।