পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মিশরের পথে-সাহিত্য-চৰ্চা Ᏹ তথাকথিত ‘অশিক্ষিত’ হিন্দু জনগণের পক্ষে দুৰ্বোধ্য নয় । হিন্দুর ভাবগুলিই রবি বাবু নূতন ভাষায়, নূতন ছন্দে প্রচার করিতেছেন। আমাদের আধুনিক কবিগণের মধ্যে বিক্রমপুরের গোবিন্দ দাসকে পণ্ডিতপ্ৰবর অতি উচ্চ স্থান দিলেন । ইহঁর মতে গোবিন্দ দাস শক্তিমান কবি—জনসাধারণের হৃদয়ে আশা ধ্বনিয়া তুলিতে পারেনজ্বলন্ত ভাষায় মনের আবেগ বুঝাইতে পারেন। স্থানে স্থানে গোবিন্দ দাস কিছু অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করিয়াছেন। যাহা হউক, আজিকালিকার অন্যান্য কবি প্ৰায়ই হৃদয়হীন, আবেগহীন, শক্তিহীন । সত্যেন্দ্ৰনাথ দত্ত অনুবাদ ছাড়া মৌলিকে বিশেষ ক্ষমতা দেখাইতে পারিতেছেন না। মাতিয়া উঠিবার ক্ষমতা ইহার নাই। পণ্ডিতপ্রবারেরও সেই মত । তবে কাব্য-সংসারে বিচিত্র তথ্য স্থান পাইতেছে। দেশের অতীত ও বৰ্ত্তমান অবস্থা, ভৌগোলিক ও ঐতিহাসিক ঘটনাবলী, শিক্ষাবিষয়ক, সামাজিক, ও আর্থিক তত্ত্বসমূহ-বঙ্গাকাব্যে আলোচিত হইতেছে। কাব্যের ভিতর দিয়া সমগ্ৰ দেশটাকে পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে চিনিবার উপায় দেখিতে পাইতেছি । বাঙ্গালা সাহিত্য বাস্তবে প্রতিষ্ঠিত হইতেছে । কিছুকাল Realistic সাহিত্যের বিকাশ হওয়া মন্দ নয় । বঙ্গের বিজ্ঞান-মহলে, ইতিহাস-মহলে, অথবা সাধারণ সাহিত্য-মহলে কোন চিন্তাবীিরের একাধিপত্যের যুগ বোধ হয় চলিয়া গিয়াছে। রাষ্ট্রীয় আন্দোলনে ত কোন কৰ্ম্মবীর বা চিন্তা বীরের সর্বময় প্ৰাধান্য আর নাই । সর্বত্রই নানা লোকের উদ্ভব দেখা যাইতেছে। পূর্বে রাজেন্দ্রলাল মিত্রের যুগ, কৃষ্ণদাস পালের যুগ গিয়াছে-তখন তঁাহারা নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রায় একমেবাদ্বিতীয়ং’ ছিলেন। এক্ষণে বাঙ্গালী কাহাকেও বোধ হয় সেইরূপ সম্রাটহুলভ সম্মান প্ৰদৰ্শন করে না। তবে উচ্চ শ্রেণী নিম্নশ্রেণী ইত্যাদি শ্রেণী বিভাগ অবশ্য আছেই। ܐ VSZ