পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/১৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কবরের দেশে দিন পনর-পৰ্ব্বত-গুহায় মিশরীয় শিল্প। ১২৩ কাজেই হাতে মোমবাতি জ্বালাইয়া কবর-রক্ষক আমাদিগকে কবরের ভিতর লইয়া গেল। বলাবাহুল্য উপযুক্ত আলোকের অভাবে গৃহগুলির সৌন্দৰ্য্য তত বেশী উপলব্ধি করিতে পারিলাম না । গড়ান রাস্তা দিয়া পর পর দুইটি গৃহ পার হইলাম। সবগুলিই প্ৰায় ১৪ ফুট উচ্চ এবং ৭ ফুট চওড়া। প্রাচীরগুলি ধূসরবর্ণ বালুকাময় প্ৰস্তরে নিৰ্ম্মিত। পাহাড়ের উপরিভাগ কিন্তু লালবৰ্ণ । কোন গৃহ চিত্রিত ও লিপিযুক্ত, কোন গৃহে লেখা বা চিত্ৰাদি নাই । এই তিন ঘরে প্রবেশ করিতে করিতে অনেকটা গভীরস্থানে পৌছিলাম। তাহার পর চতুর্থ ঘর। এটা প্ৰকাণ্ড গৰ্ত্ত। ইহার মেজে তৃতীয় গৃহের মেজে অপেক্ষা ২৫ ফুট নিম্নে বোধ হইল। এই চতুর্থ গৃহের ছাদে কৃষ্ণ বা নীলবৰ্ণ প্ৰলেপ । তাহার উপর শ্বেত বা পীতবর্ণ তারকাসমূহের চিত্ৰ । ইহার প্রাচীরগাত্রে লাল কাল পীত ইত্যাদি নানা রংএ চিত্ৰিত অসংখ্য স্তম্ভের শ্রেণী অঙ্কিত রহিয়াছে । এই গৃহ পার হইবার জন্য একটা ক্ষুদ্র পুলের উপর দিয়া যাইতে হইল । চতুর্থ গৃহ পার হইয়া পঞ্চম গৃহে আসিলাম। এই গৃহে দুইটি চতুষ্কোণ স্তম্ভ। এতক্ষণ পৰ্য্যন্ত পূর্বদিক হইতে পশ্চিমে আসিয়াছি। এইবার পঞ্চমগৃহের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে গেলাম। সেখানে একটা গুড়ান সিড়ির সাহায্যে প্ৰায় ১০ ফুট নীচে নামিতে হইল । নামিয়াই একটা প্ৰকাণ্ড গৃহের ভিতর প্রবেশ করিলাম। এই গৃহ উত্তরে-দক্ষিণে লম্বা । সর্বসমেত ছয়ট চতুষ্কোণ স্তম্ভ আছে । এইগুলির সাহায্যে ছাদ সুরক্ষিত । ছাদে অমুকুশ ও তারকার চিত্র। প্রাচীর ও স্তম্ভের গাত্রে নানাপ্রকার , বৃন্দ্বতত্ত্বের কাহিনী চিত্ৰিত । চারিটা স্তম্ভ পার হইয়া দক্ষিণদিকের শেষ দুই স্তম্ভের নিকট আসিলাম। সেইখানে কবর-রক্ষক আলোক নামাইয়া দেখাইল গৃহের,