পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/১৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

A R 8 दéभान् ख्ञ१९ দক্ষিণতম অংশ সাধারণ মেজে অপেক্ষা প্ৰায় ৮১০ ফুট নিম্নতর। কিন্তু তাহার ছাদ একই । এই নিম্নতর মেজের ভিতরে একটা “সার্কোফেগাস” বা পাথরের সিন্দুক । পাথরের গায়ে চিত্র অঙ্কিত ও লিপি খোদিত। এই সিন্দুকের ভিতর মানবমূৰ্ত্তি— জীবন্ত মানুষের মত এই শব্ব দূর হইতে দেখা যাইতেছে । মুখমণ্ডলে বা ভাব কিছুমাত্ৰ বিকৃত হয় নাই । মস্তক পশ্চিমদিকে শায়িত। পূর্বে একখানা প্ৰস্তরফলক সিন্দুকের ঢাকনি ছিল । এক্ষণে তাহা নিকটে সরাইটয়া রাখা হইয়াছে। তৎপরিবর্তে একটা কাচের আলিবণে সিন্দুক ঢাকা রহিয়াছে, এবং মুখের উপরে একটা বৈদুতিক আলোর বাতি রক্ষিত হইয়াছে । বাতি জ্বলিলে স্তম্ভের নিকট হইতে সমস্ত মৃতদেহ ও মুখশ্ৰী অতি সুন্দর দেখায় । এই দেহটি সম্রাট আমেনহোপিসের । তিনি ৩৩০ ০ বৎসর পূর্বে জীবিত ছিলেন । এই সুবৃহৎ গৃহের পশ্চিমে একটা ক্ষুদ্র গৃহ । তাহার মধ্যে দেখিলাম তিনটি “মাৰ্ম্মি’, একটি পুরুষ, একটি স্ত্রী ও অপরটি ইহাদের কন্যা । স্ত্রীদ্বয়ের চুল এখনও রহিয়াছে—পাটের চুলের মত পাকা দেখাইতেছে। অবয়ব কিছু শীর্ণ-মুখের গঠন কিছুই বিকৃত হয় নাই, দেখিলেই চিনিতে পারা যায় { শরীরের স্বাভাবিক রং লুপ্ত হইয়াছে। পেটের ভিতরকার নাডীভুড়ি রাহির করিয়া ফেলা হইয়াছিল । এই শবদেহগুলি বোধ হয সম্রাটের আত্মীয় ব্যক্তিগণের হইবে, পার্শ্বের এই গৃহে রক্ষিত ছিল । পশ্চিম পার্শ্বে ও দুই একটি ক্ষুদ্ৰ কামরা আছে দেখিলাম। ইহাতেও এইরূপ ‘মাৰ্ম্মি” ছিল। সেগুলিকে কাইরোর যাদুঘরে সরান হইয়াছে । తళ్ళి ਆ কয়েকটা যথাস্থানেই রাখিবার ব্যবস্থা করিয়া আধুনিক তত্ত্বাবধায়কগণ দর্শকদিগকে প্রাচীন প্ৰথা বুঝাইবার চেষ্টা করিয়াছেন। এজন্য মাস্মিগুলির আবরণ-বস্ত্ৰসমূহ খুলিয়া ফেলা হইয়াছে। অনাবৃত শরীর দূর হইতে সকলেই দেখিতে পাইবেন ।