পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/১৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কবরের দেশে দিন পনর-পৰ্ব্বত- গুহায় মিশরীয় শিল্প। ১২৫ আমেনহোপিসের কবর দেখিয়া তৃতীয় রামসেসের কবর দেখিলাম । ইনি ১২০ ০-১১৭৯ খ্ৰীঃ পূর্বাব্দের মধ্যে রাজত্ব করিয়াছিলেন । এই কবরটি প্রথম অপেক্ষা বিস্তৃত এবং বৃহৎ । গৃহসংখ্যা এবং গৃহের নিৰ্ম্মাণপ্ৰণালী একরূপ, কেবল প্ৰথম তিনটি গৃহের দুই পার্শ্বে কতকগুলি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কামরা আছে, কিন্তু প্ৰথম কবরে এই-সমুদয় কামরা - নাই। এই কামরা গুলির প্রাচীর নানা চিত্রে সুশোভিত । রন্ধন, পশুহত্যা, নৌচালন, জাহাজের গতি, নাইল-দেব ৩ার আশীৰ্ব্বাদ প্ৰদান, যুদ্ধের অস্ত্ৰ শাস্ত্র ও সাজসজা, কৃষ্ণ ব্লষ ও কৃষ্ণ গাভী, রাজকোষ ও ধনাগার, শিশি বোতল, পেয়াল, নানা প্ৰকার তৈজসপত্র, হাতীর দাত, গহনা, এবং আরও বহুবিধ বিষয়ের চিত্র এই দশ এগারটা গৃহের মধ্যে দেখা গেল । মিশরের সামাজিক ও বৈষয়িক জীবনের নানা তথ্য এই গৃহগুলির কারুকাৰ্য্যের মধ্যে লুক্কায়িত রহিয়াছে । অন্যান্য গৃহের প্রাচীরগাত্রেও অতি সুন্দর সুন্দর মূৰ্ত্তি অঙ্কিত। সর্বত্র রং ফলাইবার ক্ষমতা দেখিয়া রোমাঞ্চিত হইতে হয়। বদনমণ্ডলের লাবণ্য অতিশয় নৈপুণ্যের সহিত প্ৰকাশিত হইয়াছে । একে একে সকল গৃহ দেখা হইয়া গেল । ইহার ভিতর হইতে সার্কোফেগাস এবং মস্মি স্থানান্তরিত করা হইয়াছে। কাইরো-মিউজিয়ামে এই-সমুদয় এক্ষণে রক্ষিত হইতেছে। সকল কবরের রচনা প্ৰণালী একরূপ-গৃহসংখ্যা এবং প্রাচীর ও পার্শ্বগৃহের চিত্রাঙ্কন এক নিয়মেই পরিচালিত। কোন কোন অঙ্গে কথঞ্চিৎ বৈচিত্ৰ্য লক্ষিত হইবে মাত্র। কিন্তু সকলগুলিই যে 4<s (5 গড় তাহা বুঝিতে দেরী লাগে না । . . প্ৰাচীরের চিত্রগুলিতে মিশরের ধৰ্ম্মকাহিনী দেবতত্ত্ব এবং প্ৰেমতত্ত্বঃ বিবৃত রহিয়াছে। প্ৰাচীন মিশরবাসীরা বিবেচনা করিতেন, মৃত্যুর পর