পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/১৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> Nb7r বৰ্ত্তমান জগৎ সঙ্গে মানবের সম্বন্ধবিষয়ে জ্ঞান সম্যক বুঝিতে পারা যায়। এই অংশের প্ৰাঙ্গণে দেখিলাম একটা সুবৃহৎ স্থূলাকার সাপের প্রস্তরমূৰ্ত্তি পড়িয়া আছে। এক্ষণে নানা টুকরায় ইহা বিভক্ত। সর্বোচ্চ স্তরের একটি গৃহের প্রাচীর দেখিয়া প্ৰাচীন মিশরের সকল প্ৰকার কৃষি ও শিল্প বুঝিয়া লইলাম। মিশরের প্রত্যেক জেলা হইতে লোকেরা নিজ নিজ বিশিষ্ট উৎপন্ন দ্রব্য বহিয়া আনিয়ছে। এইগুলি রাণীর নিকট উপহার প্রদত্ত হইতেছে। কোন গৃহে দেখিলাম গো-পূজা ও গো-সেবার চিত্র । এক চিত্রে রাণী গাভীর বঁাট হইতে পবিত্ৰ দুগ্ধপানে নিরত । আর একস্থানে কুলীরা রাণীকে চেয়ারে করিয়া বহিয়া লইয়া যাইতেছে ; এই মন্দির কোন একসময়ে বা একজনের আমলে সম্পূর্ণ হয় নাই। স্থানে স্থানে দেখিলাম রাণীর চিত্র ও নাম প্রাচীর হইতে সযত্নে মুছিয়া ফেলা হইয়াছে । তাহার স্বামী তৃতীয় খুটুমসিস যখন র্তাহাকে বিতাড়িত করিয়া একাকী সম্রাট হন তখন তিনি রাণীর চিত্র যথাসম্ভব ধ্বংস করিতে চেষ্টিত হইয়াছিলেন । নাইলের পশ্চিম পারের কবরসমূহ এবং এই মন্দিরটি দেখিয়া প্ৰধানতঃ ও বিশেষভাবে মিশরীয় চিত্ৰশিল্পেরই পরিচয় পাওয়া গেল। এই-সকল চিত্রে বহিরাকৃতির সৌষ্ঠব এবং অঙ্গপ্ৰত্যঙ্গের লাবণ্য দেখিয়া মুগ্ধ হইতে হয়। রেখাপাত অতি দক্ষতার সহিতই হইয়াছে। চিত্রগুলি কোন কোন স্থলে খোদিত—কোন কোন স্থলে “রিলিফা”রূপে গঠিত। উভয়প্ৰকার শিল্পেই রংএর বৈচিত্র্য ও সামঞ্জস্য প্ৰকটিত । tues aīfiါး রীতিতে মাধুৰ্য্যের এবং সৌন্দৰ্য্যের বিকাশ হইয়াছে। চিত্ৰগুলি দেখি১ে২ মনে হয় আমরা জীবন্ত নরনারীর সঙ্গে চলাফেরা করিতেছি । পশুপক্ষী তরুলতা গুলিও জগতের যথার্থ উদ্ভিদ ও জীবজন্তুর অনুরূপ। মূৰ্ত্তিগুলির অবয়বের ভিন্ন ভিন্ন অংশের মধ্যে একটা