পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/১৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কবরের দেশে দিন পনর-পৰ্বত-গুহায় মিশরীয় শিল্প Y Roy সামঞ্জস্য, শৃঙ্খলা এবং যথোচিত অনুপাত রক্ষা করা হইয়াছে। চিত্রের প্ৰতিপাদ্য বিষয় বুঝিতে কোনরূপ ভুল হয় না । কোন চিত্রে দুর্বলতা, হীনতা, বা দৈন্যের পরিচয় পাইলাম না। জীবজন্তুগুলি হৃষ্টপুষ্ট বলিষ্ঠ । সর্বত্র সজীবতা, তেজস্বিতা, প্ৰফুল্লতা এবং শক্তিমত্তার চিহ্ন ও নিদর্শন দেখিতে পাইতেছি। বৃহদাকার মূৰ্ত্তি ও চিত্রের মধ্যে একসঙ্গে তেজ ও লাবণ্য, শক্তি ও কমনীয়তা প্ৰকাশ করা সহজ কথা নয়। এইরূপ আশ্চৰ্য্য সমন্বয কেবল একটি বা দুইটিমাত্র চিত্রেই আছে তাহা নয়। লক্ষ লক্ষ ক্ষুদ্র বৃহৎ মধ্যমাকৃতি চিত্রের অঙ্কনে শিল্পীরা এই অসামান্য ক্ষমতার পরিচয় দিয়াছেন । এই গেল চিত্রাঙ্কনের ও মূৰ্ত্তিীগঠনের বহিঃশিল্প বা টেকনিক । মূৰ্ত্তিগুলির ভিতরকার কথাও অতি সুচারুরূপে প্ৰকটিত । হৃদয়ের আকাজক্ষা, নানাবিধ মনোভাব, হিংসাদ্বেষ, শক্ৰতা, প্ৰেম, স্নেহ, সৌহার্দ্য, শ্ৰদ্ধা, ভক্তি, বাৎসল্য ইত্যাদি সবই আমরা এই চিত্ৰ-জগতে দেখিতে পাই । ছবি দেখিলেই বুঝিয়া লইতে পারি।-কোন আদর্শ, কোন মনোভাব, কোন চিন্তা প্রচার করিবার জন্য শিল্পী বাটালী ও তুলি হাতে লইয়াছিলেন। মিশরের প্রাচীন ইতিহাস, জাতীয় জীবনের সকল অঙ্গ, বিচিত্ৰ অনুষ্ঠান ও প্ৰতিষ্ঠান, ধৰ্ম্মতত্ত্ব, দেবতত্ত্ব, শিল্পতত্ত্ব, সংগ্রাম ইত্যাদি। সকল বিষয়ই কেবলমাত্ৰ চিত্ৰসমূহ পৰ্য্যবেক্ষণ করিলে শিখিতে পারি। এই চিত্ৰসমূহই প্ৰাচীন মিশরবাসীর প্রকৃত ইতিহাস। চিত্রগুলির মধ্যে মিশরীয়দিগের ভক্তিভােব অতি সুন্দরীরূপে প্ৰকাশিত হইয়াছে । তাহদের ধৰ্ম্মতত্ত্বে পশুপক্ষী তরুলতার মৰ্য্য "দা খুব বেশী । হিন্দুর ধৰ্ম্মতত্ত্বে যেমন জগতের নিকৃষ্ট জীবজন্তু উদ্ভিদাদি উচ্চস্থান পাইয়াছে, মিশরবাসীর ধৰ্ম্মেও সেইরূপ। চিত্রগুলি দেখিলে দেবতার আদর্শ, পূজারীদিগের চরিত্র, যজমানের মনোভাব, সাধকের ধৰ্ম্মজ্ঞান,