পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/১৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S NOS 65 5३ কিয়দংশে কয়দিন আমরা কাটাইয়াছি । এতদিন সু জল। সুফল। শস্যশ্যামলা ভূমি আমাদের সর্বদা চক্ষুগোচর হইত। আজ কিন্তু গাড়ী হইতে যেদিকে তাকাই সেই দিকেই শুষ্ক পাথর, মরুভূমির ন্যায় অনুৰ্বর প্রান্তর। রেলপথ নদীর পূর্ব কিনারার উপর দিয়া বিস্তৃত । আরব্য পর্বতশ্রেণীর পাদদেশেই গাড়ী চলিতেছে । স্থানে স্থানে নদীর সঙ্গে পৰ্ব্বত মিশিয়া গিয়াছে—মধ্যবৰ্ত্তী স্থানের প্রসার অতি অল্প । অপর কুলে ও বেশী ক্ষেত্ৰ নাই। পৰ্ব্বত প্ৰায় নদীতে আসিয়া ঠেকিয়াছে । বালু, ধূলা ও তাপে নিতান্ত কষ্ট পাইতে পাইতে কোন উপায়ে যথাস্থানে পৌছিলাম । স্থানের নাম আসোয়ান । চারিদিকে অনুর্বর পর্বত ও প্ৰান্তর । নদীর উপরেই আমাদের হোটেল । এখান হইতে আসোয়ানের প্রাকৃতিক দৃশ্য অতি মনোরম দেখাইতেছে । নাইলের দুই পাশ্ববৰ্ত্তী পাহাড় এখানে নদীর দুই কিনারায় দণ্ডায়মান । নদী আরব্য মোকাওম এবং আফ্রিকার লীবিয় পর্বতশ্রেণীর চরণতলে ধৌত কবিয়া খরস্রোতে প্রবাহিত । কেবল তাহাই নহে-দুই পর্বতশ্রেণী নদীব তলদেশে মিশিয়া গিয়াছে ; নদীর ভিতরেই মধ্যে মধ্যে অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পর্বতশুঙ্গ-নদীর দুই ধারে বৃহৎ বৃহৎ শিলাখণ্ডের স্তােপ এবং পর্বতগাত্রের প্রাচীর । এদিকে উত্তরে দক্ষিণে নদী সোজা প্রবাহিত হইয়া খানি কাটা বক্ৰ হইয়াছে । ফলতঃ আসোয়ানের কোন এক নদীর ঘাটে দাড়াইয়া দেখিলে মনে হইবে-স্থানটা চতুর্দিকেই পর্বতবেষ্টিত, মধ্যে একটা ক্ষীণকায়ু স্রোতৃদ্বতী শিলাখণ্ডের ভিতর হ্রদের মত বহিয়৷ যাইতেছে । সন্ধ্যার সময় নৌকাবাক্ষে নদীতে বেড়ান গেল । সম্মুখেই একটা ক্ষুদ্র দ্বীপ । ইহার নাম এলিফ্যাণ্টাইন। অতি প্ৰাচীন কাল হইতেই ইহা প্ৰসিদ্ধ । ইহার দক্ষিণ-পূর্ব গাত্ৰে নাইলের জল মাপিবার একটা প্রাচীন