পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানব ও প্রকৃতি কাল পূর্ণিমার চাঁদ উঠিয়াছিল। রাত্ৰে জাহাজের সকল লোকই আকাশের শোভা দেখিতে লাগিল। ফরাসী, ইংরাজ, জাপানী, পাশী, হিন্দুস্থানী, বাঙ্গালী সকলেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের দাস। অসংখ্য জাতিগত বৈচিত্র্যের মধ্যেও সাধারণ মানবতার ঐক্য সর্বত্রই দেখা যায় । সমুদ্র প্রায় এক থানা সমতল নীলবস্ত্রের মত পড়িয়া রহিয়াছে । জাহাজ জল কাটিয়া দুই একটা মাত্র তরঙ্গ রেখা সৃষ্টি করিতেছে। , এই রেখার উপর অসংখ্য প্ৰতিফলিত চাদ কতকগুলি বিদ্যুৎ-প্ৰদীপের মালার a 5 (2 C5ai সমুদ্রে জলের রং এক এক সময়ে এক প্রকার দেখা যায় । কখনও গাঢ় নীল, কখনও ধূসর, কখনও কাল। জাহাজে বসিয়া দূরে দৃষ্টি নিক্ষেপ করিলে নীল রং বুঝিতে পারা যায় না। সূৰ্য্য কিরণের প্রভাবে জলরাশি বজাতবর্ণ অথবা চকচকে মাত্ৰ বোধ হয় । নিকটের জলরাশির বর্ণই নীল । তবে এই নীলিমার ও নানা প্ৰকার পরিবর্তন দেখিতে পাই । আকাশ ও সমুদ্র নীলবৰ্ণ কেন ? এই প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দিতে বৈজ্ঞানিকেরা এখনও পারেন নাই । বায়ুমণ্ডলের ও জলমণ্ডলের রং , বোধ হয় একই কারণে নীল আভা ধারণ করে। পুঞ্জীকৃত ঘনীভূত শু,প বলিয়া জলরাশি ও বায়ুরাশির রং হয় ত এইরূপ। তাহার একটা পরিচয় এই যে, সমুদ্র-তরঙ্গের উপরকার ফোনসমূহ ও জলবুদ্ধ দুগুলি সর্বদাই শ্বেতবর্ণ। স্তুপের প্রভাব ছাড়া অন্য কারণেও জলরাশির রং গঠিত হয়। বায়ুমণ্ডলের বর্ণ জলমণ্ডলের বর্ণবৈচিত্ৰ্য স্বষ্টি করে। আকাশের মেঘের রংও সমুদ্রের রংএর উপর প্রভাব বিস্তার কলিমা