পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/১৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম দিবস-আসোয়ানের গ্রানাইট পাহাড় হেলিয়োপোলিসের গ্রানাইট ওবেলিস্ক পূর্বে দেখিয়াছি । কাইরোর নানা মসজিদে গ্রানাইট প্রস্তরের ফলক ও স্তম্ভ দেখিয়াছি। লুকাসার এবং কাৰ্ণাকেও গ্রানাইট প্রস্তরের মূৰ্ত্তি, সার্কোফেগাস এবং ওবেলিস্ক দেখিয়াছি। আজি সেই গ্রানাইট প্রস্তরের জন্মভূমিতে উপস্থিত । এখানকার পাহাড় গ্রানাইটময় । এই অঞ্চল হইতেই গ্রানাইট পাথর নদীবক্ষে ৪০ ০৷৫ ০০ মাইল উত্তর পর্য্যন্ত নীত হইত। ভারতবর্ষের নানা মসজিদ, প্ৰাসাদ ও মন্দিরে বৃহদাকার শিলাখণ্ডের উপর বিচিত্র কারুকাৰ্য্য দেখা গিয়াছে। অথচ তাহার নিকটে সেই পাথরের খনি বা পাহাড় নাই। পুণ্ডবৰ্দ্ধনের আঙ্গিনামসজিদের কৃষ্ণবর্ণ গ্রানাইট প্রাচীর দেখিয়া মনে হইত এতপরিমাণ কাল পাথর কোথা হইতে আসিল ? মিশরের উত্তরাঞ্চলেও ঈষৎরক্তবর্ণ গ্রানাইট প্রস্তরের কাৰ্য্য দেখিয়া সেই প্ৰশ্নই মনে উদিত হয়। ওখানে গ্রানাইট-পর্বত নাই— এই গ্রানাইট কিরূপে আসিল ? এই প্রশ্নের একমাত্র উত্তর “আসোয়ানের পার্বত্যপ্ৰদেশ এবং নাইলের পার্বত্য উপত্যকা প্ৰাচীন মিশরীয় ফ্যারাওদিগের একচেটিয়া সম্পত্তি ছিল।” আজ সেই প্রানাইট-পাহাড় ও গ্রানাইট-খনি দেখিতে চলিলাম । আসোয়ান নগরের বাহির হইয়াই পূৰ্বদিকের আরব্য শৈলশ্রেণী রক্তিমাভ দেখিতে পাইলাম। তাহার পাদদেশের উপত্যকায় লক্ষ লক্ষ প্ৰস্তর